হাসান আলীর বিরুদ্ধে রায় যেকোনো দিন
মনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক আসামি কিশোরগঞ্জের সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান আলীর বিরুদ্ধে রায় যেকোনো দিন হবে। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১এ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী ও আবুল কালাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।
হাসান আলীর বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ রয়েছে। প্রথম অভিযোগ, একাত্তরের ২৭ এপ্রিল তাড়াইল থানার সাচাইল পূর্বপাড়া গ্রামের হাসান আহমদ ওরফে হাচু ব্যাপারীর সাতটি ঘর লুট করে আগুনে পুড়িয়ে দেন হাসান আলী এবং তাঁর সহযোগী রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা। পরে হাচু ব্যাপারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয় অভিযোগ, ২৩ আগস্ট হাসান আলী, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা কোনাভাওয়াল গ্রামের তফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়াকে হত্যা করে দুটি ঘর লুট ও দুইজনকে অপহরণ করেন। তৃতীয় অভিযোগ, ৯ সেপ্টেম্বর হাসান আলী, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা শিমুলহাটি গ্রামের পালপাড়ার অক্রুর পালসহ ১০ জনকে হত্যা করে ঘরবাড়িতে আগুন দেন। চতুর্থ অভিযোগ, ২৭ সেপ্টেম্বর বড়গাঁও গ্রামের মরকান বিলে বেলংকা রোডে সতীশ ঘোষসহ আটজনকে হত্যা করেন হাসান আলী ও সহযোগী রাজাকাররা। পঞ্চম অভিযোগ, ৮ অক্টোবর হাসান আলী, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা আড়াইউড়া গ্রামের কামিনী কুমার ঘোষ ও জীবন ঠাকুরকে হত্যা করে ঘরবাড়ি লুট করেন। ষষ্ঠ অভিযোগ, ১১ ডিসেম্বর হাসান আলী ৩০-৪০ জন রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে সাচাইল গ্রামের শতাধিক ঘরে অগ্নিসংযোগ করেন এবং গ্রামের আবদুর রশিদকে হত্যা করেন।