বিবিয়ানায় পাইপ ফেটে গ্যাস সঙ্কট

bibiyananabiganjরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের একটি পাইপলাইন ফেটে প্রায় সাত ঘণ্টা সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. শাজাহান  এবিসি নিউজ বিডিকে জানান,  মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে তারা লাইন মেরামত করেছেন। ওই পাইপলাইন দিয়ে আবার সরবরহ শুরু হয়েছে।তবে রাজধানীর সব এলাকায় গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হতে বিকাল হয়ে যাবে বলে এই তিতাস কর্মকর্তার ধারণা।

তিতাসের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে তাদের আওতাধীন এলাকায় দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় দেড়শ কোটি ঘনফুটের মতো। এর মধ্যে ১৩০ কোটি ঘনফুটের মতো সরবরাহ পাওয়া যায়, যার একটি বড় অংশ আসে হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরনের দায়িত্বে থাকা এই ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ কোটি  ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়।

তিতাসের পরিচালক (অপারেশনস) মীর মশিউর রহমান এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, বিবিয়ানা ক্ষেত্রের যে পাইপ লাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস যায়, সেটি কোনো কারণে ফেটে যায়। বিষয়টি ধরা পড়ার পর শেভরণ কর্তৃপক্ষ শনিবার রাত ১২টার দিকে পুরো প্ল্যান্ট বন্ধ রেখে মেরামত শুরু করে।

মেরামত শেষে সকাল ৭টার দিকে আবার বিবিয়ানার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আসা শুরু করে বলে জানান তিনি।

এদিকে সরবরাহ লাইন বন্ধ থাকায় শনিবার রাত থেকেই রাজধানীর  বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে দেখা দেয় গ্যাস সংকট। রোববার সকাল থেকে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বেইলিরোড, খিলগাঁও, মতিঝিল, বাড্ডা, মগবাজার, মহাখালী , কাজীপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা  টেলিফোন করে চুলায় গ্যাস না থাকার বিষয়টি এবিসি নিউজ বিডিকে জানান।

মোহাম্মদপুর হাউজিং লিমিটেডের বাসিন্দা রাকিব উল আলম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “ভোর থেকেই আমার বাসায় গ্যাস নেই। আমার অফিস মহাখালীতে। শুনেছি সেখানেও গ্যাস নেই।”

কাজীপাড়া ও বাড্ডায় তার দুই আত্মীয়র বাসায়ও সকালে চুলা জ্বলেনি বলে জানান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা।

খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ফয়িমউদ্দিন ফাহিম বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি চুলায় গ্যাস নেই। মতিঝিল, মগবাজার, বেইলি রোডেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর পেয়েছি।”

তিতাসের পরিচালক মশিউর জানান, সরবরাহ বন্ধ থাকলেও পাইপে কিছু গ্যাস থেকে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়নি। পাইপের ওই গ্যাস দিয়েই  তিতাসের আওতাধীন এলাকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন তারা।

“সকালেই আবার সরবরাহ শুরু হওয়ায় বিকালের মধ্যে রাজধানীর সব এলাকায় গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।  ততোক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতেও গ্যাস সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলেই আশা করছি আমরা।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ