টি–টোয়েন্টিতেও বাংলাওয়াশ ?
মনির হোসেন মিন্টু, স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। আবারও সাংবাদিকদের সামনে মাশরাফি বিন মুর্তজা। গত রাতের বাংলাওয়াশের সুখস্মৃতি এক পাশে সরিয়ে রেখে মাশরাফিদের দ্রুতই নেমে পড়তে হচ্ছে নতুন মিশনে। এবার লক্ষ্য টি-টোয়েন্টিতে হারানো। দুই দলের সাতবার মুখোমুখিতে যে বারবার শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এবার নতুন কিছু হবে?
বাস্তবতা মানছেন মাশরাফি। তবে সাম্প্রতিক ফর্মটা মনে করিয়ে দিয়ে আশার গান শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘অবশ্যই জেতার আশা করতে পারি। যেভাবে আমাদের বোলাররা বল করছে, ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছে, তাতে ভালো সুযোগ থাকবে। টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমরা ইতিবাচক। এটা ভিন্ন সংস্করণ। এখানে শুরুটা ভালো হওয়া জরুরি। সব খেলায় ভালো শুরু হওয়া প্রয়োজন। তবে টি-টোয়েন্টিতে শুরু ভালো করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ-। কাল যদি শুরুটা ভালো করতে পারি, আশা করি ভালো হবে।’
আত্মবিশ্বাসের আড়ালে বাজে পরিসংখ্যানও উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের সামনে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামগ্রিক ছবিটাও বলার মতো নয়। ৪৬ ম্যাচে ২৯টি পরাজয়, জয় ১১টিতে। ওয়ানডেতে বড় বড় দলকে একাধিকবার হারাতে পারলেও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কেন নিজেদের ঠিকঠাক মেলে ধরতে পারে না? এ ব্যর্থতার জন্য মাশরাফি জানালেন, অভিজ্ঞতা একটা বড় কারণ, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খুব বেশি একটা খেলার সুযোগ পাই না আমরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাধারণত চার দিনের বা ৫০ ওভারের ম্যাচ বেশি খেলি। এখানে প্রস্তুতির একটা ঘাটতি তো রয়েছেই। এ সংস্করণে দুই-একজন অসাধারণ খেলোয়াড় দরকার, যারা কেবল টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হবে। আমাদের সেটা নেই। এ ধরনের খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। তবে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকেই টি-টোয়েন্টির জন্য ভালো। আরেকটু টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেলে আমরাও ভালো দল হতে পারব। সে সামর্থ্য আমাদের আছে।’
এ ম্যাচে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে কি না—এমন প্রশ্নে মাশরাফি জানালেন, ‘যেহেতু রুবেল নেই টি-টোয়েন্টিতে, কাজেই নতুন কেউ এলেও আসতে পারে। তবে এখনো একাদশ নির্বাচন হয়নি।’
ওয়ানডে সিরিজের আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ফেবারিট।’ টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে কি এটা বলা যায়? দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান একপেশে বলেই হয়তো মাশরাফি দিলেন কূটনৈতিক উত্তর, ‘আমার মনে হয়, দুই দলই সমান। আমরা হয়তো বেশি ম্যাচ খেলিনি। এক-দেড় বছর বড় দলের বিপক্ষে জিততেও পারিনি। তবে ওয়ানডেতে যেভাবে খেলেছি, সেভাবে খেললে ম্যাচটা আমরা জিততে পারি।’
আগের সংবাদ সম্মেলনেই পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলে গিয়েছেন, ওয়ানডের চেয়ে তাদের টি-টোয়েন্টি দল শক্তিশালী। এটা মানছেন মাশরাফিও। তবে নিজেদের ছন্দের কথাও মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফি, ‘আফ্রিদির সঙ্গে একমত। ওয়ানডের চেয়ে এ সংস্করণে তারা অনেক শক্তিশালী। অনেক দিন ধরেই ওরা টি-টোয়েন্টি খেলছে। সোহেল তানভীর, আফ্রিদি তো সব মিলিয়ে ১৫০-এর বেশি টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছে! তবে মাঠে ভালো খেললে এসব অভিজ্ঞতা কাজে আসে না। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, যেখানে অভিজ্ঞতা খুব একটা কাজে আসে না। যেমন ছন্দে আছি আমরা, তাতে লড়াই হবে সমানে সমান।’
কিন্তু একটাই তো ম্যাচ। এক ম্যাচের জয়-পরাজয়কে ঠিক হোয়াটওয়াশ বলা চলে না। তবে তাতে বয়েই সমর্থকদের। কাল পাকিস্তানকে হারালে এটাকেও বাংলাওয়াশ নম্বর টু-ই তো বলবেন!