দাপুটে বোলিংয়ে নাগালেই পাকিস্তান
মনির হোসেন মিন্টু, স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ওয়ানডে সিরিজে উড়ে যাওয়া পাকিস্তান টি-টোয়েন্টির ভিন্ন ফরম্যাটে এসে ভিন্ন কিছুরই স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে নিজেদের সংগ্রহটাকে খুব একটা স্বস্তির জায়গায় নিতে পারল না কুড়ি ওভারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আফ্রিদির দলকে ১৪১ রানে বেঁধে রেখে রঙিন পোশাকের লড়াইয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ন রাখার পথেই থাকল বাংলাদেশের টাইগাররা। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন টি-টোয়েন্টি স্কোর।
মুস্তাফিজুর রহমান নামের এক বিস্ময় দেখল আজ মিরপুরের দর্শকেরা। টেলিভিশনের কল্যাণে সেই মুস্তাফিজ বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ল গোটা দেশেই, খুব সম্ভবত গোটা ক্রিকেট দুনিয়াতেই। নিজের কোটার চারটি ওভারে ১৬টি ডট বল করাই স্বপ্নের মতো এক ব্যাপার। সেই সঙ্গে যদি যুক্ত হয় শহীদ আফ্রিদি আর মোহাম্মদ হাফিজের দুটি উইকেট, তাকে বলা চলে স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু। এমন অভিষেক বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি এই তরুণ তুর্কি!
মুস্তাফিজের চারটি ওভারই গতিপথ ঠিক করে দিয়েছে পাকিস্তানের ইনিংসের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যে দলটির দুর্দান্ত রেকর্ড, সে দলটিই কিনা পুরো ইনিংসটা সাজাতে পারল না মনের মতো করে। মুস্তাফিজের বিস্ময়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সাকিব আল হাসানের অভিজ্ঞ বোলিং। তাঁর চার ওভার থেকে আসে মাত্র ১৭। দুই স্পেল মিলিয়ে তিনি বাউন্ডারি খেয়েছেন মাত্র একটি। উইকেট না পেলেও মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহটাকে সহনীয় পর্যায়ে আটকে রাখার নায়ক তিনিও। পুরো ইনিংসে ৪৯টি ডট বল নির্দেশ করছে বল হাতে বোলারদের ‘ডিসিপ্লিনড’ পারফরম্যান্সকেই। মুস্তাফিজের জোড়া উইকেটের পাশাপাশি একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ আর আরাফাত সানি।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান মুখতার আহমেদের। ৩৭ রান করে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হারিস সোহেলের—৩০। হাফিজের ব্যাট থেকে এসেছে ২৬। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য বিশেষভাবে পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা আহমেদ শেহজাদ করেছেন ১৭। শহীদ আফ্রিদি ১২ রান করে আউট হলেও তাঁর বিপক্ষে দেওয়া সিদ্ধান্তটি কিন্তু বিতর্কিতই।
২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৩৫ রানে। ওটাই ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে আজকের আগে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। সেই ম্যাচটা জিতেছিল পাকিস্তান। আজ দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহের দৃশ্যপটটা কিন্তু একেবারেই অন্যরকম। এ যে নতুন দিনের বাংলাদেশ।