ইসির সক্ষমতা নিয়ে মহাজোটের প্রশ্ন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার ও অপপ্রচার ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি বলে মনে করেন মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা।
এ পরিস্থিতিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।
রোববার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় বাদশা তিনি বলেন, “চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যাপকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার হয়েছে। শাপলা চত্বরে (হেফাজতের সমাবেশের রাতে) হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে।”গত ১৫ জুন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে রাজশাহীতে মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পরাজিত হন, যার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরদিন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্বাচনে ‘ধর্মের ব্যবহার’ হয়েছে বলে সংসদে জানান।
বাদশা বলেন, নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও ধর্মকে ব্যবহার করে ভোট চাওয়ার অধিকার কোনো প্রার্থীর আছে কি না তা নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে।
“সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার হলেও নির্বাচন কমিশন কিছুই করেনি। প্রকাশ্যে ইসলাম রক্ষার জন্য ভোট চাওয়া সাম্প্রদায়িকতার শামিল। মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘ধর্মের অপব্যবহার ও অপপ্রচার’ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া না হলে এবং নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করলে দেশে ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন হবে-এটা মনে হয় না বলে বাদশা জানান।
এদিনও সংসদে অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার নিয়ে কথা ওঠে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমেদ বলেন, “সংসদে যে ভাষার ব্যবহার করা হয় তাতে আমার শোনার আগ্রহ নষ্ট হয়ে গেছে। এই ভাষার ব্যবহার হলে সংসদের মর্যাদা থাকে না। তবে শুভ লক্ষণ দেখা গেছে। কয়েকজন সংসদ সদস্য এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।”