সীমান্ত বিল পাসে বিএনপির সাধুবাদ
মনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের লোকসভায় সর্বসম্মতভাবে ১১৯ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পাসকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এ সাধুবাদ জানান।
নাশকতার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরে স্থলসীমান্ত চুক্তির বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
ভারতের লোকসভায় স্থলসীমান্ত বিল পাসে সন্তোষ প্রকাশ করে আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন পর স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সংসদে বিল পাস হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ ৫০০ একর জমি হারালেও দুই দেশের ছিটমহলের অধিকার বঞ্চিত মানুষগুলো তাদের অধিকার ফিরে পাবে। তারা রাষ্ট্রীয় সুযোগসুবিধা ভোগ করতে পারবে। আমরা এ বিল পাসকে সাধুবাদ জানাই।’
এ বিল পাসের জন্য আসাদুজ্জামান দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, ভূমিমন্ত্রী নৃপেন চ্যাটার্জি, সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং যাদব, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আসাদুজ্জামান বলেন, এই চুক্তিটি মূলত কংগ্রেস সরকারে সময়ে হয়েছিল। সেসময় ভারত সরকার তাদের জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার জন্য চুক্তি নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে কথা বললেও বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি।
খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রের নিন্দা
সংবাদ সম্মেলনে যাত্রাবাড়ীতে বাস পোড়ানোর মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জন নেতার নামে পুলিশের অভিযোগপত্র দেওয়ার নিন্দা জানান আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। তিনি রাজনীতি করেন। তাই তাঁর নামে মামলা হতেই পারে। কিন্তু বাস পোড়ানোর মতো একটি মামলায় তাঁর নাম আসতে পারে, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।’
আসাদুজ্জামান বলেন, পেট্রলবোমা, বাস পোড়ানোর রাজনীতি বিএনপি করে না। কারা এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা জড়িত তা ‘নিরপেক্ষ’ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে। সে জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে দেশের সব নাশকতার তদন্ত দাবি করেছেন। কিন্তু সরকার সেদিকে না গিয়ে একটি অগ্রহণযোগ্য পথের দিকে যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০-দলীয় জোট ৬ জানুয়ারি থেকে অবরোধ দেয়। কিন্তু তার আগে ৩ জানুয়ারি থেকেই সরকার সারা দেশে অবরোধ সৃষ্টি করেছিল। সে সময় দেশে অনেক সহিংসতা ও নাশকতা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের সঙ্গে দূরত্ব না গুছিয়ে সরকার উল্টো পথে হাঁটছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কাজী আসাদুজ্জামান, জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান, আসাদুল করিম শাহীন, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।