প্রতারণার আরেক নাম মালয়েশিয়া যাত্রা

Bay_of_Bengal_mapমনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সাগর পথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের বিষয়টি পুরোটাই প্রলোভন ও প্রতারণা। গত এক বছরে কক্সবাজার থেকে পাচার হয়েছে ৫ হাজার মানুষ। যার বেশিরভাগই হয় মারা গেছেন, না হয় নিখোঁজ রয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় ১০০ জন বিভিন্ন মেয়াদে থাইল্যাল্ড ও মালয়েশিয়ায় কারাভোগ শেষে ফিরতে পেরেছেন।

ফিরে আসা এসব মানুষদের নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছেন বেসরকারি সংস্থা ইয়ং পাওয়ার ইন স্যোশাল অ্যাকশান (ইপসা)। পাচার প্রতিরোধে ইপসার কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট চারটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান কক্সবাজার ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার সিরাজ উদ্দিন বেলাল।

কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দুরে রামু উপজেলার দারিয়ারদিঘী গ্রাম। ওই এলাকার কাদের হোসেনের ছেলে মো. আলম গত ৩ বছর ধরে নিখোঁজ।

আলমের বড় ভাই বলেন, তার ভাইকে প্রলোভন দেখিয়ে ট্রলারে করে পাচার করেছে দালালরা। শুধু আলম নয়, গ্রামের হারুনুর রশিদ, কালু, ফরিদুল আলমসহ আরো অনেকই এই চক্রের শিকার।

নিখোঁজদের স্বজনদের দাবি, স্থানীয় জসীম, মুফিজ, শেরআলী, তনু, আবদুর রহিমের নেতৃত্বে এসব যুবকদের পাচার করা হয়। এদের বেশির ভাগেরি বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।

এদিকে, থাইল্যান্ডে গণকবরের খবর শুনে আতংকিত নিখোঁজদের স্বজনরা। তাদের আশঙ্কা প্রিয় স্বজনের দেহাবশেষ থাকতে পারে ওই সব গণকবরে।

থাইল্যাল্ড ও মালয়েশিয়ায় কারাভোগ শেষে কক্সবাজারে বেঁচে ফিরেছে অনেকে। এদের একজন রামু উপজেলার মেরুংলোয়া এলাকার শাকেরুল ইসলাম। তিনি জানান, আজও তাড়া করে বেড়ায় তাকে কারাভোগের সে দিনগুলো।

একই অবস্থা কক্সবাজারের কাউয়ারকোপ ইউনিয়নের আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ফোরকানের।

এদিকে, মানবপাচার রোধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ