গৌতম হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলার রায়ে ৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গত এক দশকে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় এই প্রথম কোনো মামলার রায় হলো।
রায়ে বিচারক বলেন, সাংবাদিক গৌতম সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ওই দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছিলেন বলে মামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
মামলার ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ খান আগেই মারা গেছেন।
বাকি নয় আসামি আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, আসাদ বিন কাদির, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, তামজিদ হোসেন বাবু, রাজিব হাসান মিয়া এবং আবু তাহের মতুর্জা ওরফে অ্যাপোলোকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আসামিদের মধ্যে অ্যাপোলো পলাতক। কারাবন্দি বাকি নয় জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের স্বজনরাও রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তবে রায় শুনে আসামিদের মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
রায়ের পর মামলার বাদী সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে সাংবাদিক হত্যার শাস্তির আদেশ হওয়ার শুরু করল- এতে আমরা খুশি। কিন্তু আসামিদের ফাঁসির আদেশ না হওয়ায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না।”
সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গৌতম দাসের চাচাত ভাই বিশ্বরূপ দাস বলেন, “গৌতমের বাবা মা পুত্র শোকে মারা গেছেন। তারা এই রায় দেখে যেতে পারলেন না। তারপরও আসমিদের যাবজ্জীবন সাজার রায় হয়েছে এটাই সান্ত্বনা।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর ‘স্পর্শকাতর’ বিবেচনায় সরকার ওই বছর এপ্রিলে মামলাটি ফরিদপুর থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। মোট চারজন বিচারকের হাত ঘুরে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
২০০৭ সালের ১৩ নভেম্বর আসামি পক্ষ এ মামলার বিচারের ওপর হাই কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।