নারী লাঞ্ছনাকারীদের ধরিয়ে দিলে লাখ টাকা : আইজিপি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আট নারী লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরিয়ে দিলে প্রত্যেক লাঞ্ছনাকারীর জন্য এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
আজ রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল হক বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা আট নারী লাঞ্ছনাকারীর ছবি গণমাধ্যমে দেওয়া হবে।
আইজিপি আরও বলেন, রেজিস্ট্রেশন নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল ধরতে আগামী ৩ জুন থেকে অভিযান চালাবে পুলিশ। রেজিস্ট্রেশন নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল মালিকদের এ সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলা নববর্ষের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী। ওই দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে এ ঘটনা ঘটে। নিপীড়নকারীদের ঠেকাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি লিটন নন্দীর হাত ভেঙেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে এই ঘটনা জানানো হলেও তাঁরা যথাসময়ে ব্যবস্থা নেননি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটন নন্দী বলেন, বাংলা নতুন বছর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি আসার পথে তারা কয়েকজন দেখেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ৩০-৩৫ জনের একদল যুবক বেশ কয়েকজন নারীর ‘শ্লীলতাহানি’ করছে। তারা কারও কারও শাড়ি ধরে টান দিচ্ছিল। কয়েকজনকে তারা প্রায় বিবস্ত্রও করে ফেলে। এ সময় তিনি সেখানে বাধা দিতে গেলে ওই যুবকদের ধাক্কায় পড়ে যান এবং হাতে ব্যথা পান।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিটন নন্দী বলেন, ‘এ দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না। আমি আমার পাঞ্জাবি খুলে এক নারীকে দিয়েছিলাম। আরেকটি মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। ওই যুবকেরা ভিড়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা পুলিশ সদস্য ও প্রক্টরকে ঘটনা জানালেও তাঁরা কেউ যথাসময়ে আসেননি।’ এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।