গৌতমের স্ত্রী ফাঁসির আশা করেছিলেন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট হননি তার স্ত্রী দীপালী দাস।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট নই। আশা করেছিলাম ঘাতকদের কঠোর শাস্তি হবে, ফাঁসি হবে। কিন্তু তা হয়নি। বছরের পর বছর অপেক্ষার পরও ন্যায় বিচার পেলাম না।
“আমি সমকাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ মামলায় আপিল করার দাবি জানাই,” বলেন দীপালি।
ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার জেরে দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতমকে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর তার কার্যালয়ে ঢুকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামিরা
হত্যাকাণ্ডের প্রায় আট বছর পর বৃহস্পতিবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বৃহ্স্পেতিবার এ মামলার রায় দেন। এতে ৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মামলার বাদী, গৌতম দাস স্মৃতি সংসদ ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের তার সহকর্মীরা।
মামলার বাদী হাসানউজ্জামান বলেন, “ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।”
গৌতম দাস স্মৃতি সংসদের সম্পাদক সিরাজ-ই কবীর খোকন বলেন, “গৌতমকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতকদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আশা করেছিলাম। কিন্তু তা পেলাম না।”
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, এই রায়ে ফরিদপুরের মানুষ আশাহত হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিল ঘাতকদের কঠোর শাস্তি হবে আশায়। দুঃখের বিষয় এই রায়ে তা পাওয়া যায়নি।
মামলার ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ খান আগেই মারা গেছেন।
বাকি নয় আসামি আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, আসাদ বিন কাদির, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, তামজিদ হোসেন বাবু, রাজিব হাসান মিয়া এবং আবু তাহের মতুর্জা ওরফে অ্যাপোলোকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আসামিদের মধ্যে অ্যাপোলো পলাতক। কারাবন্দি বাকি আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের স্বজনরাও রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর গৌতম দাসের মা সতী রাণী দাস এবং ২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর বাবা বলরাম দাস মারা যান।