জিয়া হত্যায় এরশাদ সরাসরি জড়িত দাবি অলির

oli ali cornel কর্নেল অলিআজমী আনোয়ার, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান হত্যার সঙ্গে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাঁর দাবি, জিয়া হত্যার দুই দিন আগে এরশাদ চট্টগ্রাম সফর করেন।
অলি আহমদ আজ শুক্রবার তাঁর বাসভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। পরে তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
অলি আহমদ বলেন, ‘মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর, লে. কর্নেল মাহাবুব ও লে. কর্নেল মতিউর রহমানকে এরশাদের নির্দেশে খুবই ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। কারণ তারা বেঁচে থাকলে মূল ষড়যন্ত্রকারীর নাম প্রকাশ পেত।’
জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে অলি আহমদ বলেন, ‘গোলাগুলির শব্দ পেয়ে রুম থেকে বের হওয়ার সময় খুব নিকট থেকে তাঁকে (জিয়াউর রহমান) গুলি করা হয়। ওই রুমে ছিলেন প্রেসিডেন্টের ডাক্তার তৎকালীন লে. কর্নেল মাহতাব উদ্দিন। তাঁর কাছ থেকেই এ তথ্যটা পেয়েছিলাম। ৩০ মে রাতের শেষ ভাগে জিয়াউর রহমানকে হত্যা হয়।’
জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণা করে অলি আহমদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের শুধু সঙ্গেই ছিলাম না, এক রুমে ঘুমিয়েছিও। এক কথায় বলতে গেলে তিনি ছিলেন সফল রাষ্ট্রনায়ক, সফল প্রশাসন, সফল সেনানায়ক, সফল রাজনৈতিক। তিনি চেষ্টা করেছেন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার। তাঁর ছিল দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা।’

অলি আরও বলেন, শহীদ জিয়ার হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে আরও ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়। এদের মধ্যে অনেকেই শহীদ জিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আদৌ জড়িত ছিলেন না। এরশাদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য যাঁরা পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন তাঁদের চিরতরে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তখন অনেকেই চেষ্টা করেছেন ১১ জনকে ফাঁসি না দিয়ে যাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই ১১ জন অফিসার বেঁচে থাকলেও হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীর নাম প্রকাশ পেত বলে তাঁর দাবি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ