গ্রাম আদালত বিল সংসদে বিএনপির আপত্তি
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ গ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সহজ ও আদালতের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০১৩’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
তিন সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বিলটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
২০০৬ সালের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।
বিএনপির সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বিলটি উত্থাপনের আপত্তি জানান। তিনি বলেন, “এই আইনের ফলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঘুষের লেনদেন হবে।”
তিনি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে বিল উত্থাপনের দাবি জানান।
পরে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বলেন, “খুঁটিনাটি অনেক অনেক সমস্যার জন্য মামলার সংখ্যা বাড়ছে। মামলার চাপ কমাতে এ বিল উত্থাপন করা হয়েছে।”
গ্রাম আদালত সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দেখার জন্য নিজানকে আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত আইনে গ্রাম আদালতের আর্থিক অধিক্ষেত্র ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৭৫ হাজার করা হয়েছে।
বিলে গ্রাম আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিশনের আবেদনপ্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট সহকারি জজ কর্তৃক সেটি প্রাপ্তির তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে কারো ক্ষতি করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করার শাস্তি হিসাবে দুই হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে গ্রাম আদালত অবমাননার শাস্তি পাঁচশ টাকার পরিবর্তে এক হাজার করার বিধান রাখা হয়েছে।
আইনের ৫ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফৌজদারি মামলার সঙ্গে কোনো নাবালক ও নারীর অর্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিতে হবে।
৬ এর ‘খ’ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গ্রাম আদালত গঠিত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এর প্রথম সভা হবে। সভায় উভয় পক্ষে শুনানি গ্রহণ করে মামলার বিচার্য বিষয় গ্রহণ করা হবে এবং আপস-মীমাংসার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নিস্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “বিদ্যমান আইনে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় কিছু অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। এসব অসুবিধা দূর করতে এবং গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে আইনের কিছু ধারা সংশোধন আবশ্যক।”