বাবরসহ ৬ জনকে রিমান্ডে চায় পুলিশ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রেলের টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের গোলাগুলিতে দুই জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে চায় পুলিশ।
বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে এই ছয় জনকে গ্রেপ্তার করার পর রাতে চট্টগ্রামে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিজামউদ্দিন বলেন, দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজত চাওয়া হবে।
বাবর ছাড়া বাকি পাঁচজন হলেন- পলাশ দাশ, মাজহারুল ইসলাম, ছোটন বড়ুয়া, শাহ আলম ও রবি দে। এরা সবাই যুবলীগের সদস্য।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেনী রেলস্টেশনের সংস্কার কাজের ৪৮ লাখ টাকার টেন্ডার জমা দেয়া নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দুটি পক্ষ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিআরবি সাতরাস্তার মোড়ে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদরদপ্তরের সামনে সংঘর্ষে জড়ায়।
এ সময় আরমান নামে আট বছর বয়সী এক শিশু এবং সাজু পালিত নামে এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের পর নগরীর সিআরবি, নন্দনকাননসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন গভীর রাতে নগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেকজনকে।
তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জমির উদ্দিন, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসমত আলী রাসেলসহ ৪৪ জনকে মঙ্গলবার ১ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এই ৪৪ জনের প্রায় ৩০ জন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান যুবলীগ নেতা দিদারুল আলমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েল অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষে দরপ্রস্তাব জমা দিতে সিআরবিতে যান। সেখানে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় দাঙ্গা ও হত্যার অভিযোগে ১২৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ যে মামলা করেছে, তাতে বাবর ৫৩ নম্বর আসামি। সোমবার গ্রেপ্তার ৫২ জনের মধ্যে বাবরের অনুসারী ২১ নেতাকর্মীও রয়েছেন।