কে রুখবে ছাত্রলীগ ?
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা : কে রুখবে ছাত্রলীগ নেতাদের? টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, জমি দখল, অপহরন, লুটপাট, ধর্ষনসহ এমন কোন অভিযোগ নেই, যা তাদের বিরুদ্ধে উঠছে না। সব শেষ ২৬ জুন (শুক্রবার) রাতে রাজধানীর কাফরুল থানায় আটক হয়ে শ্রীঘরে গেছেন মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ মাহমুদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই কলেজের ছাত্রী ফাতেমাতুজ জোহরার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে আত্মহত্যায় প্রড়োচিত করেন জাহিদ মাহমুদ।
এখানেই শেষ নয়, ফাতেমাতুজ জোহরার লাশ দাফন করে তার শোকাহত পিতা শুক্রবার কাফরুল থানায় মামলা করতে গেলে জাহিদ মাহমুদ দলবল নিয়ে তাকে হুমকি দিতে এসে আটক হন। এই রিপোর্ট লেখার সময় তার ঠাই হয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এ বিষয়ে ফলাও করে দেশের বেশিরভাগ জাতীয় দৈনিকে শুক্রবার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও কারো টনক নড়েনি। চুপচাপ এই ছাত্র-সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতরাও। সাবেক নেতারা কিছুটা সরব থাকলেও কেউই তাদের কথা এখন আর আমলে নিচ্ছেন না। এমন একটি ঘটনায় কি ক্ষমতাসীনদের সুনাম বৃদ্ধি করেছে? যদি না করে, তাহলে এখনই কি এই কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন নয়?
ফাতেমার পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, জাহিদের সঙ্গে ফাতেমাতুজ জোহরা মিরপুর বাঙলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর ছিলেন। ফাতেমা কাফরুল থানা শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। জাহিদের সঙ্গে সম্পর্কের একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর ফাতেমা বিয়ের জন্য জাহিদকে চাপ দিলে জাহিদ বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে গত ১ জুন ফাতেমা জাহিদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরিবারের অভিযোগ, জিডি করার পর থেকেই জাহিদ ফাতেমা এবং তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ১৩ জুন মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাতেমা।