ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব নয় : অর্থমন্ত্রী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যোগাযোগ মন্ত্রী’র বক্তব্যের জবাবে আগের অবস্থানেই অটল থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। যোগাযোগ মন্ত্রী যা বলেছেন, তা তার কথা। আমি যা মনে করেছি, তাই বলেছি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগ মন্ত্রী যা বলেছেন, সেটা তা তার কথা। আমি যা মনে করেছি, তাই বলেছি। তবে আমি বলছি কাগজ পত্র দেখেই বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর মূল কাজের কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেট অধিবেশনের সমাপনী দিনে পদ্মা সেতুর বিষয়ে আমি যে বক্তব্য দিবো সেটাই হবে সরকারের বক্তব্য। সেখানেই আমি বিষয়টি স্পষ্ট করবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শুরু থেকেই গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটরি বডি) নেই। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে নয়, আবার এমআরএ’র অধীনেও নয়।
তিনি বলেন, ‘কমিশনকে আমি ডাকি নাই। তারাই আমার কাছে পরামর্শের জন্য এসেছিল। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, সরকারের লোক হিসেবে আমি তো কোনো পরামর্শ দিতে পারি না। আমি শুধু সিদ্ধান্ত নেব। কমিশনের জন্য যে ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ তৈরি করে দেয়া হয়েছে সেটাই তাদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, তোমরা বৈঠক করতে চাও করো, সেটা তোমাদের বিষয়। তাদের সেই বৈঠকে ইউনূস সাহেবকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে, এটা কমিশনের প্রস্তাব। কিন্তু এটা নিয়ে ড. ইউনূসের সংবাদ সম্মেলন করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। তিনি আসলে রাজনীতিবিদ। তাই তিনি এসব করছেন।’
গ্রামীণ ফোনের শেয়ার ফিরিয়ে আনার
উপায় খুঁজছে কমিশন
‘গ্রামীণ টেলিকম’-এর প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ টেলিকম একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ড. ইউনূস এটা গড়ে তোলেন। কমিশন প্রাথমিকভাবে যা পেয়েছে সেটা হচ্ছে, চুক্তি ছিল গ্রামীণ টেলিকমের ৫১ শতাংশ শেয়ারে জাতীয় অংশগ্রহণ (ন্যাশনাল পার্টিসিপেশন) থাকবে। বাকী ৪৯ শতাংশ অন্যদের। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম তাদের শেয়ার নেয়নি। সেটা নিয়েছে টেলিনর। কিন্তু এখন তো এই শেয়ারের ৫১ শতাংশ পাওয়া যাবে না, কারণ এর ১০ শতাংশ শেয়ার তারা বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। এখন গ্রামীণ ফোনের কত শতাংশ শেয়ার সরকার পাবে সেটা নির্ধারণ করবে কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।