চার দিনের রিমান্ডে বাবর
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রেলের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুইপক্ষের গোলাগুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বাবরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনের শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নূরে আলম ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) রেজাউল মাসুদ এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, এ ঘটনায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার অপর পাঁচজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
এরা হলেন- মাজহারুল ইসলাম, ছোটন বড়ুয়া, শাহ আলম, রিটু দাশ বাবলু ও খোকন চন্দ্র তাঁতী।
বুধবার ভোর রাতে ঢাকার গুলশানে বাবরের সঙ্গে তাদেরও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় রিটু দাশ বাবলু নিজেকে পলাশ দাশ এবং খোকন চন্দ্র তাঁতী নিজেকে রবি দে পরিচয় দিয়েছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, আসামিদের জামিনের আবেদন করা হলেও বিচারক তা না মঞ্জুর করেন।
এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার ৫৯ জনের মধ্যে ৫১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেল পুলিশ।
ফেনী রেলস্টেশনের সংস্কার কাজের ৪৮ লাখ টাকার টেন্ডার জমা দেয়া নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দুটি পক্ষ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিআরবি সাতরাস্তার মোড়ে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদরদপ্তরের সামনে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আরমান নামে আট বছর বয়সী এক শিশু এবং সাজু পালিত নামে এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের পর নগরীর সিআরবি, নন্দনকাননসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন গভীর রাতে নগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেকজনকে।
তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জমির উদ্দিন, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসমত আলী রাসেলসহ ৪৪ জনকে মঙ্গলবার ১ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া আরেকজনকে পাঠানো হয় তিন দিনের রিমান্ডে।
এদের মধ্যে ৩০ জন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান যুবলীগ নেতা দিদারুল আলমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েল অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষে দরপ্রস্তাব জমা দিতে সিআরবিতে যান। সেখানে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় দাঙ্গা ও হত্যার অভিযোগে ১২৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ যে মামলা করেছে, তাতে বাবর ৫৩ নম্বর আসামি।