শিশু নির্যাতন বন্ধে রুখে দাঁড়াও

Mintuশিশু সামিউলকে সিলেটে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার মাত্র এক মাস না যেতেই খুলনায় শিশু রাকিবের বর্বর হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ।

গত ৪ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সুটকেসের ভেতর এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। তার শরীরে ছ্যাঁকা ও জখমের চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া বরগুনার আমতলীতে চোখ ওঠানো অবস্থায় একটি শিশুর লাশ পাওয়া গেছে।

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ভন্ড পীরের পাল্লায় পড়ে মা তাঁর চার বছরের শিশুকন্যাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তাহলে বাংলাদেশ কি শিশুহত্যাকারীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হতে চলেছে? এ প্রশ্ন আজ দেশের আপামর জনসাধারণের।

আমার-আপনার শিশুসন্তানকে যদি কেউ ধরে নিয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে পৈশাচিক উন্মত্ততায় মেতে ওঠে, রুখবে কে? যে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন এসব অপরাধ দমনের দায়িত্বে নিয়োজিত, তাদের অনেকে এমন বর্বর অপকর্মের সহযোগী। সিলেটে সামিউল হত্যার ঘটনায় এ রকম সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লঘু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ কথা পরিষ্কার যে খুন করে অনায়াসে পার পেয়ে যায় বলেই অপরাধী চক্রের এত সাহস। তারা খুব ভালোভাবেই জানে, তাদের কিছু হবে না, বিচার ও শাস্তির বাইরে থাকার অনেক উপায় তাদের আছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। লেখক : মনির  হোসেন মিন্টু, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ