আর কত প্রান হানির পর সচেতন হবে রেলওয়ে ?
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : রেল ক্রসিংয়ে গত ৭ মাসে ৩২ জনের প্রান হানির ঘটনার পরও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। আর কত প্রান হানির ঘটনা ঘটলে সজাগ হবে কর্তৃপক্ষ? এ প্রশ্ন দেশের সাধারণ মানুষের।
গেট নেই। ট্রেন এসে গেছে। যানবাহন যাতে রেললাইনে উঠে যেতে না পারে, তাই বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন দুই গ্রাম পুলিশ। ২৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শ্যামপুরের বড়ইতলা রেলক্রসিং থেকে এই দৃশ্য তুলে ধরেছে দৈনিক প্রথম আলো। ছবিটি প্রমান করে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সচেতনতা।
রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকা, ক্রসিং পারাপারে যানবাহন চালকদের অসতর্কতা এবং লোকো মাস্টারদের (ট্রেনচালক) সংকেত অমান্য করা পূর্বাঞ্চল রেলওয়েতে দুর্ঘটনার বড় কারণ এই তিনটি। গত সাত মাসে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ গঠিত কয়েকটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩২ জনই রেলক্রসিং দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের রেললাইন পূর্বাঞ্চলের আওতাভুক্ত।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রামের বাড়বকুন্ডু এলাকায় রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন। রেলক্রসিংয়ে ওঠার পর কনটেইনারবাহী ট্রেইলর হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে ট্রেইলরের চালকের অসতর্কতা ও ক্রসিংয়ের গেটম্যানকে দায়ী করা হচ্ছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মফিজুর রহমান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণত স্টেশন মাস্টাররা রেল ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। স্টেশনের দুই প্রান্তে ৬০০ মিটার করে মোট ১২০০ মিটারের মধ্যে যতগুলো ক্রসিং থাকবে, তা গেটম্যানদের মাধ্যমে তদারকি করেন তিনি। কিন্তু পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ৫৪টি স্টেশন কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে স্টেশন মাস্টার না থাকায় গেটম্যানরা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না, তা যাচাই করার সুযোগ থাকছে না।