করদাতাদের পেনশন দাবি এফবিসিসিআই’র

Chairman Sir PP New2আজমি আনোয়ার,বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৫ সেপ্টেম্বর): দীর্ঘদিন কর দেওয়ার পর যে সব করদাতা ব্যবসায়ীক কর্মকান্ড থেকে অবসর নেন তাদের পেনশন দাবি করেছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে জাতীয় আয়কর দিবস-২০১৫ এর সর্ব্বোচ ও দীর্ঘ মেয়াদী করদাতাগণকে সম্মাননা সনদ, ক্রেষ্ট ও ট্যাক্স কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই কর প্রদানে উৎসাহিত করতে করদাতাদের পেনশন দেওয়ার রেওয়াজ চালু রয়েছে। একজন করদাতা ষাটোর্ধ্ব বয়স হওয়ার পর সাধারণত ব্যবসায়ীক কর্মকান্ড থেকে অবসর নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন রাষ্ট্রকে কর দেওয়ায় তার জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করে থাকে। আমাদের দেশেও এ ধরনের ব্যবস্থা করলে করদাতারা কর প্রদানে আরো উৎসাহিত হবে।
প্রতি বছরে জেলায় যে সব সেরা করদাতা নির্বাচিত হন তাদের মধ্যে অন্তত একজনকে সিআইপি সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রতিবছর এনবিআর সেরা করদাতা নির্বাচিত করে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে জেলায় যারা সেরা করদাতা নির্বাচিত হন তাদের বানিজ্যিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি (সিআইপি) মর্যাদা দিলে করদাতাদের মধ্যে কর বিষয়ে পজিটিভ ধারণা তৈরি হবে।
ব্যবসায়ীরা কর দিতে ইচ্ছুক এমন মন্তব্য করে মাতলুব আহমাদ বলেন, এমন কোন ব্যবসায়ী নেই যাদের কর দেওয়ার মনোভাব নেই। সরকার কিংবা এনবিআরকে করদাতাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল এনবিআরের নাম শুনলেই মানুষের মনে ভয় কাজ করতো। বর্তমানে সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ হয়েছে। এখন এনবিআর করদাতা বান্ধব। তবে কর প্রদানে উৎসাহিত করতে তাদেরকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।
এফিবিসিসিআই’র সভাপতির এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন উদ্ভাবনী প্রস্তাব অবশ্যই ইতিবাচক। আমি অর্থমন্ত্রীর কাছে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করলাম। বিষয়টি ভেবে দেখার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও বিশেষ অতিথি অর্থ-প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের সেরা করদাতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে জতীয় পর্যায়ে ২০ জন ও ঢাকা বিভাগীয় সেরা করদাতাদের ট্যাক্সকার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ বছর সারাদেশ থেকে মোট ৩৮৭ জনকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়।
এর আগে সকালে বর্ণাঢ্য ও জমকালো র্যা লির মাধ্যমে জাতীয় আয়কর দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। ‘সুখী স্বদেশ গড়তে ভাই, আয়করের বিকল্প নাই’ মূল প্রতিপাদ্য এবং ‘সমৃদ্ধির সোনালী দিন, আনতে হলে আয়কর দিন’ স্লোগানে জাতীয় আয়কর দিবস-২০১৫ এর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী।
বরাবরের মতো এবারও আয়কর দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত শিল্পী, নৃত্য শিল্পী, চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতের তারকারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ