”ভবিষ্যতেও উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে” রাষ্ট্রপতিঃ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১২ অক্টোবর): রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে গেছে, যা আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরে অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার সম্মানে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি সারা জীবন সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতি করতে গিয়ে কোন দিন অন্যায় করিনি, অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দেইনি। রাজনীতি করেছি পশ্চাৎপদ হাওর এলাকাসহ সারা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য।
হাওর এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, এক সময়ে হাওর এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না, রাস্তাঘাট ছিল না। কিন্তু এখন মানুষ বিদ্যুৎ ও রাস্তাঘাটের সুবিধা ভোগ করছে। ভবিষ্যতেও উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, হাওরের অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে এখানে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অবকাঠোমো উন্নয়ন শেষ হলে হাওর এলাকা কক্সবাজারের চেয়েও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, কিশোরগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিঠামইন ও নিকলী উপজেলার মাঝামাঝি একটি ক্যান্টনমেন্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক হায়দরী বাচ্চুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন ও রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমস।
এর আগে সোমবার দুপুর আড়াইটায় হেলিকপ্টারযোগে অষ্টগ্রাম ডাকবাংলো মাঠে অবতরণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সেখানে পৌঁছে তিনি প্রথমেই ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নবনির্মিত ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু’ উদ্বোধন করেন। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৪১ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় বাঙ্গালপাড়া, দেওঘর ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম ও কাস্তুল ইউনিয়নের অন্তত এক লাখ মানুষ সারা বছর সড়কপথে যোগাযোগের সুবিধা ভোগ করবে।
এর পর ডাকবাংলোতে বিশ্রাম শেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চড়ে বিকাল ৪টার দিকে অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার সম্মানে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
সভা শেষে তিনি অষ্টগ্রাম ডাকবাংলোতে ফিরে যান। সেখানেই তিনি রাতযাপন করবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।