টেলিমেডিসিন সেবা যশোরে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, যশোরঃ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে উন্নত প্রযুক্তির টেলিমেডিসিন সেবা পেতে শুরু করলো যশোর জেলা।
গত শুক্রবার যশোর জেলা প্রশাসক কাযালয়ের তথ্যসেবা কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান টেলিমেডিসিন সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, টেলিমেডিসিন সেবার মান বৃদ্ধি করে ইসিজি, এক্সরে ও আলট্রাসাউন্ড রিপোর্ট প্রদান করতে অন্যায্য মেডিকেল ডিভাইস যেমন স্টেথিস্কোপ এবং স্ক্যানার যোগ করে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর ফলে চর্মরোগের পাশাপাশি এই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যাসহ বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য সেবা দেয়া যাবে যশোর থেকে।
যশোরে প্রথমবারের মতো একটি কেন্ত্রে আধুনিক টেলিমেডিসিন সেবা শুরু হলেও শিগগিরই মাছিম নগর, চাষাড়া ও বাকরা ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে টেলিমেডিসেন সেবা দেয়া শুরু হবে বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রামীণফোন ২০১২ সালের ফেব্রয়ারিতে দেশের তিনটি স্থানে টেলিমেডিসিন প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে। আগে শুধু টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চর্মরোগের চিকিৎসা দেয়া হত।
যশোর তথ্যসেবা কেন্দ্রের টেলিমেডিসিন উদ্যেক্তা মারুফ হোসেন জানান, যশোর থেকে ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিতে একজন রোগীকে কয়েক হাজার টাকা খরচ এবং কয়েকদিন সময় প্রয়োজন পড়ে, তবে যশোর থেকে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে মাত্র দুইশ’ থেকে তিনশ’ টাকা খরচ করে এ সেবা পাওয়া যাবে।
কম খরচে ডাইকট (ডিজিটাল ইম্যাজিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইন টেলিমেডিসিন) যন্ত্রের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সরাসরি যুক্ত হয়ে ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিতে পারবে যশোর জেলাবাসী।
কম্পিউটারের মাধ্যমে রোগীর তথ্য চিকিৎসকের মাধ্যমে পাঠানো হয় একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। পরে স্কাইপের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে রোগী সরাসরি কথা বলে। এর পরপরই চিকিৎসক একটি ব্যবস্থাপত্র দেন।
এই ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে প্রিন্ট এবং অনলাইন প্রেসক্রিপশন পাওয়া যাবে এবং এখানে একটি ডাটাবেইজ রয়েছে, যেখানে পূর্ববর্তী কনসাল্টেশনের তথ্য রাখা হয় যা ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে কাজ করে।
সম্প্রতি গ্রামীণফোন বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার কৌশলগত অংশীদার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েল সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করে।
টেলিমেডিসিন ওয়ার্কিং গ্রুপ অব বাংলাদেশ (টিডব্লিউজিবি) এই প্রকল্পের প্রযুক্তিগত অংশীদার হিসেবেক এবং আয়শা মেমোরিয়াল স্পেশ্যালাইজড হাসপাতাল, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং কর্নসান ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী অংশীদার হিসেবে কাজ করবে।
চুক্তি অনুযায়ী ১৫টি ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টারে টেলিমেডিসিন সেন্টারে রূপান্তর করা হবে এবং চিকিৎসকদের সাহায্যের জন্য উদ্যেক্তাদেরকে টেলিমেডিসিন সহকারী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটির অংশ হিসেবে এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে গ্রাশীণফোন সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য এ চিকিৎসা সেবা দিতে সহযোগিতা করে আসছে।