”বেগম জিয়া গোপন বৈঠক করেছেন” হাছান মাহমুদ:
আজমি আনোয়ার,বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৭ অক্টোবর) : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতাদের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। কারণ খালেদার জন্য লন্ডনে নতুন বাসা খোঁজা হচ্ছে। এ জন্য খালেদা জিয়া আর দেশে ফিরবেন কি না তা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তারা এমনও ধারণ করছেন কিছুদিন লন্ডন-বাংলাদেশ করে খালেদা জিয়া লন্ডনেই প্রবাসী হয়ে যেতে পারেন।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা শুনেছি বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তারেক রহমানের সম্পর্ক রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে তাদের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া গোপন বৈঠক করেছেন। তাই বিএনপি নেতাদের কাছে অনুরোধ আপনারা সন্ত্রাসের পথ ছাড়ুন।
বিএনপি অফিসে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি যে মরে যায়নি, বেঁচে আছে তা জানান দিতেই প্রতিদিন বিএনপি অফিসে সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে।
এ সময় আলোচনা কক্ষে অট্টহাসিতে মেতে ওঠেন উপস্থিতরা। হাসি থামতেই হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বেঁচে আছে জানান দিতে এ পন্থা বন্ধ করে জনগণের কাছে আসুন।
বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি জাকির আহম্মদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বলরাম পোদ্দার, সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান নষ্ট করতে চক্রান্ত চালাচ্ছে। দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আবারও নতুন চক্রান্ত হতে পারে। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে আগুন সন্ত্রাসীরা চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের মধ্যে গভীর হতাশা।কারণ তারা কেউ জানেন না তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া কবে দেশে আসবেন। আদৌ আসবেন কি না তা নিয়ে তাদের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। তাদের এ হতাশার অন্যতম কারণ তাদের নেত্রী মামলার ভয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন।
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, খালেদার বিরুদ্ধে দেশে দুটি মামলা চলছে। এর একটি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা শেষ পর্যায়ে। ৫৪০ ধারায় মামলা চলতে পারে তার ব্যবস্থা করে গেছেন। মামলা দু’টি ‘ফিড কেস ফর কনডিশন’।
মামলাটি যে ফিড কেস ফর কনডিশন এটি মিথ্যা কথা না। এটি তাদের দলের নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আমাকে বলেছেন। এছাড়া বইপত্র ঘেটেও আমি পর্যালোচনা করে দেখেছি এটি ফিড কেস ফর কনডিশন, বলেন কামরুল ইসলাম।
তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ রক্ষা কমিটির নেতা আনু মোহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে কামরুল বলেন, তাদের কথা শুনে মনে হয় মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। কারণ আনু মোহাম্মদদের চেয়ে সুন্দরবনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশি ভালোবাসেন। সুন্দরবনের পরিবেশ বৈচিত্র নষ্ট হয় এমন কোন পদক্ষেপ শেখ হাসিনা গ্রহণ করবে না।