”নাইকোর বিরুদ্ধে মামলা” বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীঃ
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,ঢাকা(১৭ অক্টোবর): টেংরাটিলা গ্যাস ক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ক্ষতিপূরণ চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে নাইকোর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ। আগামী ২ থেকে ৬ নভেম্বর এ মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নিয়মিত আয়োজন মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বিদুৎ, জ্বালানি ও ক্ষনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন। সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন।
টেংরাটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ক্ষতি আদায়ের জন্য এ উদ্যোগ । এ ক্ষেত্র থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার গ্যাস পুড়ে গেছে। ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাগুরছড়া গ্যাস ক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অক্সিডেন্টাল ক্ষতিপূরণ দেয়নি। অন্যদিকে ছাতকের টেংরাটিলা নামে পরিচিত ছাতক গ্যাসফিল্ডে ২০০৫ সালে ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার জন্যই টেংরাটিলার এ ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। পুরো গ্যাস ক্ষেত্র নষ্ট হলে পেট্রোবাংলার প্রতিবেদন মতে তার পরিমাণ ৩০৫ দশমিক ৫ বিসিএফ আর বাপেক্স-নাইকোর রিপোর্ট মতে ২৬৮ বিসিএফ।
গড় হিসাব বিবেচনা করলে মাগুরছড়া ও ছাতক টেংরাটিলার বিস্ফোরণগুলোতে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত প্রমাণিত সর্বমোট গ্যাস মজুদের মধ্যে কমপক্ষে প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ধ্বংস হয়েছে। মাগুরছড়া ও টেংরাটিলায় গ্যাস সম্পদসহ ক্ষতির হিসাবে মার্কিন ও কানাডার কোম্পানির কাছে আমাদের পাওনা দাঁড়ায় কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা
(মাগুরছড়া ক্ষয়ক্ষতির জন্য শেভরনের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং টেংরাটিলায় ২ দফা ক্ষয়ক্ষতির জন্য নাইকোর কাছে ৩০ হাজার কোটি টাকা)। এ পরিমাণ জ্বালানি খাতে গত পাঁচ বছরের বাজেট বরাদ্দের চেয়েও বেশি। যদি দীর্ঘমেয়াদে জীব-বৈচিত্র্য বিপর্যয়সহ পরিবেশ ক্ষতি বিবেচনা করি, যদি মানুষের ক্ষতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিবেচনা করি, যদি এই গ্যাস সম্পদের অভাবে বর্তমান বিদ্যুৎ সঙ্কটের ক্ষতির হিসাব যোগ করা হয়, তাহলে এর পরিমাণ আরো অনেক বাড়বে।