রেশমাকে নিয়ে প্রতিবেদন মনগড়া

Reshma Begum, Bangladeshরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার রেশমাকে নিয়ে ডেইলি মিররের প্রতিবেদনটি ‘মনগড়া’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সামরিক বাহিনী।

যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েডটিকে উদ্ধৃত করে ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমাকে উদ্ধার ‘সাজানো’ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দেশের সংবাদপত্রগুলোর সমালোচনাও করেছে তারা।

সাভারে ভবন ধসের ১৭ দিন পর গত ১০ মে রেশমা ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হলে তা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে।

ডেইলি মিরর রোববার এক প্রতিবেদনে বলে, রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাটি ছিল সাজানো । একই ধরনের প্রতিবেদন গত ১৮ জুন প্রকাশিত হয় আমার দেশের অনলাইন সংস্করণেও।

ডেইলি মিররের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার কয়েকটি সংবাদপত্র রেশমা উদ্ধার ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা নজরে আসার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) একটি বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিবাদ জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঘটনার ৫০ দিন পর সানডে মিরর রেশমা উদ্ধার সংক্রান্ত যে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে, তা উদ্ধারকারীদের মনে চরম আঘাত দিয়েছে। এতে তাদের ত্যাগ, সততা ও মানবতাবোধ প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

“একটি বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সোমবার অপরিণামদর্শী ও অমানবিকভাবে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা দায়িত্বশীল সংবাদ মাধ্যমের নিকট হতে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।”

গত ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়লে সেখানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চলে। ওই ভবন ধসে সহস্রাধিক শ্রমিক নিহত হন, আহত হন বহু।

আইএসপিআর বলছে, রেশমাকে উদ্ধারের সময় দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং রেশমা নিজেও তার আটকে থাকার অভিজ্ঞতা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

এই ধরনের ‘বিভ্রান্তিমূলক’ তথ্য পরিবেশনের ফলে রেশমার মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএসপিআর।

রেশমাকে নিয়ে ডেইলি মিররের প্রতিবেদনটি করেছেন সাইমন রাইট, যিনি ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ চলাকালীন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

ওই সময় গার্ডিয়ান ও হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা যায়, ড্রেসিং রুমে সমর্থকদের ঢোকার সুযোগ করে দিয়ে রাইট থেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ঠেলে দিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ