এলপিজি পরিবহনে দিল্লির প্রস্তাব পরীক্ষা করছে ঢাকা’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের হাই কমিশনার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফরকালে গৃহীত চুক্তিসমূহ ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শেখ হাসিনা বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক এবং উভয় পক্ষ স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এর প্রটোকল নির্ধারিত সময়ে স্বচ্ছন্দে বাস্তবায়ন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনে সমর্থন দেয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলমত নির্বিশেষে দেশটির পার্লামেন্টের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা আস্থা প্রকাশ করেন যে, অবশিষ্ট সব পদক্ষেপ যথাসময়ে সম্পন্ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সদ্যবিলুপ্ত ছিটমহল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, এসব এলাকার জনসাধারণ সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পায়। এসব কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ভারতের সহযোগিতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, এক্ষেত্রে আমরা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যেতে চাই।
তারা পদ্মা নদীর উপর গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের বিষয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ব্যারেজ নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশে পায়রা বন্দর ও গভীর সমুদ্রে আরো বন্দর নির্মাণে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে ভারতের আগ্রহের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহন করছে।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পেট্রোপোলে একটি সমন্বিত অভিবাসন চেকপোস্ট স্থাপিত হচ্ছে। এ ছাড়া, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িতে ভারতের একটি অভিবাসন চেকপোস্ট চালুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ বাসস