প্রশাসনের প্রভাব বনাম ধর্মের ব্যবহার

ajmotরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ গাজীপুরে নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান। এর বিপরীতে সরকারি প্রশাসনের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান।

সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের উপস্থিতিতে গাজীপুর শহরে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন।

ধান গবেষণা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী আজমত বলেন, “নির্বাচনে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্ম নিয়ে উস্কানি দেয়া হচ্ছে, প্রার্থীদের নাস্তিক বলা হচ্ছে। এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে।”

কারা এই উস্কানি দিচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি মান্নানের দিকে ইঙ্গিত করে সাংবাদিকদের বলেন, “আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শুরু থেকেই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। ধর্মীয় অনুভূতির অপব্যবহার করছেন।

“নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বুঝতে পেরে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ইচ্ছাকৃতভাবেই এ ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন।”

১৮ দলীয় জোট সমর্থিত মান্নান বলেন, “এই নির্বাচনকে সরকার প্রভাবিত করছে। স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ আহমেদ গতকাল চৌরাস্তায় এসে গোপন বৈঠক করেছেন। কৃষি কর্মকর্তা মদনকুমারও গতকাল গোপন বৈঠক করেছেন। এছাড়া ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহা পরিচালক আজ মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইমামদের নিয়ে বৈঠক করছেন।”

“আমরা জানতে চাই, তারা কী বৈঠক করেছেন,” প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তবে সাবেক মন্ত্রী মান্নান জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রতি এখনি অনাস্থা জানাচ্ছেন না তিনি।

সভায় মেয়র প্রার্থী নাজিম উদ্দীন আহমেদ বলেন, নির্বাচনের প্রথম দিন থেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

প্রার্থীদের মুখে অভিযোগ শুনে সিইসি কাজী রকিব বলেন, “প্রার্থীদের বলছি আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান। আর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি, তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিন।”

mannanসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ধর্মের অপব্যবহার শুধু নির্বাচনের ক্ষেত্রেই নয়, সব ক্ষেত্রেই বর্জনীয়। এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করব। আপনারাও (সাংবাদিক) সহযোগিতা করে সচেতন করতে পারেন।”

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিইসি। আগামী ৬ জুলাই এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।

প্রার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “ভোটের মাধ্যমে জনগণ যে রায়ই দিক না কেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখবেন বলে আমি আশা করি। নির্বাচনের পরেও যেন পরিবেশ ও আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকে তাতে সহায়তা করবেন।”

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে প্রত্যেক প্রার্থীকে অনুরোধ জানান তিনি।  দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সহায়তা করার অনুরোধও জানান তিনি।সিইসি জানান, এই নির্বাচনে প্রায় ৫ হাজার পুলিশ, র‌্যাবের ২৮টি মোবাইল টিম এবং ১২ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ