মাসব্যাপী বাজারে কম দরে চিনি
চট্টগ্রাম ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : ভোক্তা পর্যায়ে ৪৫ টাকায় প্রতিকেজি রিফাইন্ড চিনি বিক্রি করছে এস আলম গ্রুপ। নগরীর ১০টি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে একমাস ব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে।
৭ জুন (মঙ্গলবার) দুপুরে নগরীর জেল রোডের আনসার ক্লাবের সামনে ন্যায্যমূল্যে চিনি বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য সঠিক রাখার জন্য এস আলম গ্রুপ ন্যায্যমূল্যে ৪৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। এক সময় ৩২ টাকায় চিনি বিক্রি হতো। এখন ৩৫ টাকায় লবণ বিক্রি হচ্ছে। চিনি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। লবণ দেশেই চাষ হয়। তাজ্জব ব্যাপার।
চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের খ্যাতি আছে উল্লেখ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এস আলম গ্রুপের যিনি প্রধান তিনি পেছনে থেকে মানুষের উপকারের চেষ্টা করেন। আজও উপস্থিত হননি। আমি আশা করবো, এক সপ্তাহ পর থেকে এস আলম গ্রুপ ন্যায্যমূল্যে বিক্রিতে কেজি প্রতি আরও দুই টাকা কমিয়ে দেবে।
চট্টগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্যে দুর্বল হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে সাবেক এ মেয়র বলেন, এখানে চেম্বার আছে, বিরাট বিল্ডিং আছে। খাতুনগঞ্জ আছে, ছগীর ভাই আছেন। মাহবুব ভাই আছেন। আপনারা উদ্যোগ নিন। আমদানিকারকদের সঙ্গে বসে ছোলা যাতে কম দামে খেতে পারে সেই ব্যবস্থা নিন। ছোলার দাম বেশি এবার।
রমজান মাসে ইফতার, তারাবির সময় লোডশেডিং বন্ধ রাখার এবং ওয়াসাকে পর্যা্প্ত পানি সরবরাহের দাবি জানান তিনি। ওয়াসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাইপ আছে কিন্তু পানি নঅ আইয়ের। আঁরা পানি নঅ পাইর।’ অর্থাৎ পানির লাইন আছে কিন্তু পানি আসছে না। আমরা পানি পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, কাজ না করে ফায়দা হাসিল করলে যা হয় আর কি। কমিশন বাণিজ্য ছেড়ে মানুষের সেবা করুন।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাভু, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ, মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, এস আলম গ্রুপের হেড অব করপোরেট হুমায়ুন কবির, বকশির হাট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি নুরুল হক, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, ব্যবসায়ী জানে আলম, জাহাঙ্গীর আলম, রাজু কুমার চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত হন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।
সৈয়দ ছগীর আহমদ বলেন, এস আলম গ্রুপ আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। ভোগ্যপণ্য আমদানি করে কম দামে বিক্রি করে থাকে। প্রতি বছর রমজানে ন্যায্যমূল্যে ভোগ্যপণ্য ভোক্তাদের হাতে তুলে দেয়।
ব্যবসায়ী নুরুল আজিজ সওদাগর বাংলানিউজকে বলেন, একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ তিন কেজি চিনি কিনতে পারবেন। পুরো রমজান মাসজুড়ে এ কার্যক্রম চলবে।
চিনি কিনতে এসেছিলেন পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আবদুর রশিদ।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চার ছেলে, দুই মেয়ের বড় পরিবার। রমজানে বিভিন্ন পদের ইফতার, শরবত, জুস তৈরিতে প্রচুর চিনি লাগে। বাজারে চিনি ৫৮-৬০ টাকা। এখানে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জেনে এসেছি। এটি সবার জন্যে একটি সুযোগ।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চিনি ছাড়াও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ভেজিটেবল অয়েল ৭০ টাকা ও সয়াবিন ৮০ টাকা বিক্রি করবে। উদ্বোধন উপলক্ষে মোড়কজাত ৫৬ টাকার চিনির প্যাকেট ৪৫ টাকায় সরবরাহ করা হলেও ভোক্তারা ওই দামে পাবেন খোলা চিনি