প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন: সৈয়দ আবুল হোসেন
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ জাতীয়করণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেকমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। বুধবার এক বার্তায় তিনি শেখ হাসিনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
শিক্ষাখাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রশংসা করে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, ‘যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নতএ চিরন্তন বাণীর অন্তর্নিহিত ধারণার ধারক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে যুগোপোযোগী আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন ও উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রসারে নিজের কর্মপ্রয়াস উৎসর্গ করেছেন। শিক্ষার প্রসারে অনুকূল পরিবেশ ও অবকাঠামো বিনির্মাণের ধারণা জননেত্রী শেখ হাসিনার অন্তরে গভীর মমতায় লালিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো শিক্ষিত জনশক্তি তৈরির কারখানা। মাথা ছাড়া দেহের কোনো দাম নেই, শিক্ষা ছাড়া জাতির কোনো মূল্য নেই’।
তথ্যমতে, শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মাদারীপুর জেলার ডাসার থানায় অবস্থিত একটি আবাসিক মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার ছাত্রী এখানে বিনামূল্যে অধ্যয়ন করে। দক্ষ শিক্ষক, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও মুগ্ধকর পরিবেশ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটিকে বাংলাদেশের এক আকর্ষণীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করেছে। বাংলাদেশের আর কোথাও এমন পূর্ণাঙ্গ মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নেই। কলেজের পরিসর ও অবকাঠামো এত বিস্তৃত যে, সহজে এটাকে পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ দেওয়া যায়। অদূর ভবিষ্যতে এটি সরকারি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবে- এমন দৃঢ় সম্ভাবনা কলেক কর্তৃপক্ষ গভীর মমতায় লালন করে।
অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটিকে জাতীয়করণ করে এলাকার জনগণের প্রতি যে মমতা ও সৌহার্দ্য প্রদর্শন করেছেন- তা মাদারীপুরসহ সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ বিনম্র শ্রদ্ধায় চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
কলেজের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বাণীতে আরও বলা হয়, ‘কালকিনি থানা, ডাসার থানা ও মাদারীপুর সদর থানার খোয়াজপুর ও কেন্দুয়া আজ শিক্ষাঞ্চল হিসাবে একনামে পরিচিত। শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাড়াও এ এলাকায় রয়েছে আরো অনেক স্বনামখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কালকিনি পাইলট মডেল হাইস্কুল, খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ডি কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজ এবং এবিসিকে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমী, শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়, সাহেবরামপুর কবি নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার চিরন্তন ক্ষেত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বমহিমায় খ্যাত, কৃতিত্বে অজেয়, সাফল্যে ভরপুর এবং অবদানে বিশাল।’
শ্রীলঙ্কার শিক্ষা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, ‘শ্রীলঙ্কায় সকল স্তরের শিক্ষা জাতীয়করণের আওতায় পরিচালিত হয়। আমাদের দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষকদের শতভাগ বেতন সরকারই দিয়ে থাকে। কিন্তু সরকার শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ফি হতে কোনো সুবিধা পায় না। সরকার যদি সকল স্তরের শিক্ষাকে জাতীয়করণের আওতায় এনে শিক্ষার্থীদের ফি সরকারি কোষাগারে গ্রহণের ব্যবস্থা করে, তাহলে একদিকে সরকারের ব্যয় কমে যাবে। অন্যদিকে, বৃদ্ধিপাবে শিক্ষার গুণগত মান। আমাদের গর্ব ‘শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ’ জাতীয়করণ করায় আমরা খুব খুশী। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যাতে জাতীয়করণ না হয় সেজন্য কেউ কেউ জ্ঞানের স্বল্পতা ও মনের কৃপণতার কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। কলেজটি জাতীয়করণ হওয়ায় আজ প্রতিবন্ধকতাকারীদের মনের সংকীর্ণতা ও কৃপণতা দূর হবে। শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এলাকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জনগণসহ বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল গভীর আনন্দে আপ্লুত। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলার ছাত্রী ‘শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে’ অধ্যয়ন করে। বৃহত্তর ফরিদপুরবাসীর সঙ্গে সারা বাংলাদেশের জনগণও শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ জাতীয়করণ হওয়ায় আনন্দিত ও উদ্বেলিত। জাতিকে মানসম্মত শিক্ষা প্রসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয়করণ করে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি রইল অপরিসীম শ্রদ্ধা। এ মহৎ কাজে সহযোগিতা করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে।’
কলেজ কর্তৃপক্ষ আরও বলে, ‘যে প্রক্রিয়ায় এবং যাঁর নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ অনুমোদনে এ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি জাতীয়করণ হয়েছে- সে একই প্রচেষ্টায়, একই নেতৃত্বে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কালকিনি পাইলট মডেল হাইস্কুল, খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ডি কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজ এবং এবিসিকে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমী, শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়, সাহেবরামপুর কবি নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ও পর্যাযক্রমে জাতীয়করণ হবে- আমরা এ প্রত্যাশা করি। আমরা মহান আল্লাহ-তায়ালার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।’