যুক্তি উপস্থাপন শেষ, শাস্তি কমানোর আর্জি
প্রতিবেদক, এবসিনিউজবিডি, ঢাকা: জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিলের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আপিলে অপরাধ প্রমাণিত হলেও শাস্তি কমানোর আর্জি করেছেন তার আইনজীবী।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বুধবার সকালে নিজামীর পক্ষে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এরপর অল্প সময়ের জন্য নিজামীর পক্ষে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
প্রধান বিচারপতির এ বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত তিন দিন ধরে নিজামীর পক্ষে আদালতে এ মামলায় কয়েকটি চার্জের ওপর যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা। আজ আদালতে নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, মীর কাশেমের ছেলে ব্যারিস্টার আরমান বিন কাশেম উপস্থিত আছেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
নিজামীর আইনজীবীরা তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করলে তারপর রাষ্ট্রেপক্ষ তাদের যুক্তি আদালতে তুলে ধরবেন।
গত ২৫ নভেম্বর আদালত এই তিনদিন (৩০ নভেম্বর, ১ ও ২ ডিসেম্বর) নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ঠিক করেন। এর আগে গত ১৭, ১৮ ও ২৩ নভেম্বর নিজামীর আপিল শুনানিতে পেপারবুকের কিছু অংশ পাঠ করেন নিজামীর আইনজীবী এস এম শাহজাহান। গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজামীর আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের রায়ের অংশ পাঠ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে নিজামীর পক্ষে ১ নম্বর অভিযোগের তিনজন সাক্ষির জবানবন্দি আদালতে পড়ে শোনান অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেন। রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়।