জাল নোট উদ্ধারে গতি
কলকাতা রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডিঃ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জাল রুপি ও টাকা উদ্ধার এবং নোট জালকারী চক্রের বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।
গত মাসের শেষ দিকে রাজশাহীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক পর্যায়ের বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে (বিএসএফ) জানানো হয়, জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় বাংলাদেশে ৫ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় কয়েক হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং নোট জাল করা রোধে প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হলে তাদের অনেকেরই যাবজ্জীবন সাজা হয়ে যেতে পারে বলে বিজিবি কর্মকর্তারা বিএসএফকে জানিয়েছেন।
বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার আইজি (সাউথ বেঙ্গল ও নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার) সন্তোষ মেহরার নেতৃত্বে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধি দলটি গত ২৬ থেকে ২৯ জুন ওই বৈঠকে যোগ দেয়। আর বিজিবির নেতৃত্বে ছিলেন রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিরোজ রহিম।ওই বৈঠকে অংশ নেয়া এক বিএসএফ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে তৎপর একটি ‘জাল নোট’ চক্রের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।
“আমরাও গত কিছুদিনে বেশ কিছু জাল নোট উদ্ধার করেছি, যেগুলো বাংলাদেশ হয়ে ভারতে এসেছে। তবে বিজিবি আমাদের যেসব তথ্য দিয়েছে তার ভিত্তিতে এখন আমরা আরো কার্যকরভাবে অভিযান চালাতে পারব।
ভারতের শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ভারতের মুদ্রাবাজারকে অস্থিতিশীল করতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই করাচি ও দুবাইভিত্তিক একটি মুদ্রা জালকারী চক্রকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।
সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রমেশ ভট্টাচার্যের ভাষায়, ভারতের সঙ্গে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধের’ অংশ হিসাবেই পাকিস্তান এ ধরনের পৃষ্ঠ পোষকতা দেয়।
আর সেই চক্রটি জাল নোট ভারতে পাচারের জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা। তারা বলছেন, ওই চক্রের সদস্যরা রুপির পাশাপাশি টাকাও জাল করছে।
এই চক্রকে ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক একবার মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার প্রস্তাব দিলেও তা বাতিল হয়ে যায়।