কুমিল্লা চট্টগ্রাম জামালপুর মাদরীপুর ও বরগুনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকাঃ বুধবার ৩০ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে ২৩৪টি পৌসভায় একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এরমধ্যে দেশের বিভন্ন পৌরসভায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে কর্মকর্তারা ।
কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভার লতিফপুর। এদিকে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুৎফুন্নাহার নাজিম জানান, সকাল ৭টার দিকে একদল যুবক কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল দেয়া শুরু করলে আইশৃংখলা বাহিনী ও কেন্দ্রে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তাদের সিল দেয়া ১২শ ব্যালট পেপার উদ্ধার করে সেগুলো বাতিল করেন এবং ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। অবশ্য কোন প্রার্থীর পক্ষে ব্যালটে সিল দেয়া হয় তা জানানো হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ২টি ভোট কেন্দ্রের ভোট শুরুর পরপরই কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার, জালভোট ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়
জামালপুর জামালপুর সদরে ১টি ও সরিষাবাড়িতে ১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট প্রিসাডিং কর্মকর্তারা।
মাদারীপুরের তিনটি কেন্দ্রের ভোট শুরুর আগেই ব্যালটে সিল দেয়ায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো- কালকিনি পৌরসভার কাষ্ঠগড় ও দক্ষিণ জোনারদণ্ডি এবং কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, কাষ্ঠগড় ও দক্ষিণ জোনারদণ্ডি কেন্দ্রে কয়েকটি ব্যালট বাক্স পাওয়া যায় যেগুলোতে আগে সিল দিয়ে ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সকালে ব্যালটসহ বাক্সগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং কেন্দ্র দুটিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে সিল মারা হয়েছিল তা জানাননি রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
বরগুনা পৌরসভার গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে সদর থানার ওসি, প্রিসাইডিং অফিসার এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শুরু হতেই সকাল ৯টার দিকে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজের পক্ষে একদল সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপির চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে পুলিশ। তবে ভোট দিতে না পেরে ক্ষিপ্ত হন সাধারণ ভোটাররা।
এ সময় উত্তেজিত জনতা ভোটকেন্দ্র লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সদর থানার ওসি রিয়াজ হোসেন পিপিএম, প্রিসাইডিং অফিসার মঞ্জুরুল আলম, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান এস এম সিফাতসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। এ সময় ১০ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনাস্থলে বিজিবি, এপিবিএন এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মোস্তফা কামাল জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।