উত্তাপের ৫ জনুয়ারি, পাল্টা কর্মসূচি অতঃপর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ

সাইফুর রহমান, প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: আজ সেই উত্তাপের ৫ জানুয়ারি।  আজ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি । দিনটিকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ও বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এ নিয়ে দুদলই একই জায়গায় সমাবেশ ডাকে। পরে বিএনপি শর্তমেনে সমাবেশ বাস্তবায়নের পথে।

সোমবার, ০৪ জানুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে  ঘণ্টাব্যাপী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র রাজনৈতিক কার‌্যালয়ে মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারি সমাবেশ সফল করার জন্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।

বৈঠকে আজকের (৫ জানুয়ারি) সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয়। জনসভা সফল করার জন্য বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম এবং জনসভার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক থাকার নির্দেশ দেন বেগম জিয়া।

বেগম জিয়া’র সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

উল্লেখ্য,জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে ওইদিন ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতিও চায় দলটি। তবে একই সময় একই স্থানে সরকারি দল আওয়ামী লীগও ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ নাম দিয়ে সমাবেশের ডাক দেয়।

পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় উভয় দলই নিজ নিজ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ব্যাপারে সম্মত হয়। প্রথমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর তোড়জোর শুরু হয়েছে সমাবেশ বাস্তবায়নের। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করে দেয়া হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে; নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না; সমাবেশ করতে গিয়ে রাস্তাঘাট আটকে যানজট তৈরি করা চলবে না; ফেস্টুন-ব্যানারের আড়ালে লাঠি বা কোনো ধরনের অস্ত্র বহন করা যাবে না; পুলিশের বেঁধে দেওয়া চৌহদ্দির মধ্যেই সমাবেশ সীমিত রাখতে হবে ইত্যাদি।

এদিকে ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে গত দুই বছরের মতো এবারও রাজনীতিতে কিছুটা উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দলেরই নমনীয় মনোভাবের কারণে সংঘাতপূর্ণ কোনো কর্মসূচি আসেনি। এতে এবারের ৫ জানুয়ারি দিবসটি শান্তিপূর্ণভাবে কাটবে বলে আশা করছেন সবাই।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ