মুক্তিতে বাধা নেই ড. মোশাররফ এর

নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভগ। ফলে বিএনপি এই নেতার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা ।

মামলাকারী দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী বলেছেন, আদালত শর্তসাপেক্ষে খন্দকার মোশাররফের জামিন বহালের আদেশ দিয়েছে।

এই মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন ৭১ বছর বয়সী সাবেক এই মন্ত্রী। তিনি অসুস্থ বলে তার মুক্তি দাবি করে আসছে বিএনপি। মামলাটিতে বিচারিক আদালতে তিন মাস আগেই অভিযোগ গঠন হয় তার বিরুদ্ধে।

এই মামলায় খন্দকার মোশাররফ ২০১৪ সালে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হাই কোর্টে গেলে গত বছরের অগাস্টে শর্তসাপেক্ষে জামিনের আদেশ পান তিনি। ওই আদেশ ঠেকাতে দুদক সুপ্রিম কোর্টে গেলে তাদের আপিলের আবেদন করতে বলেছিল সর্বোচ্চ আদালত, সেই সঙ্গে জামিনের আদেশ স্থগিত হওয়ায় মোশাররফের মুক্তি মেলেনি।

রবিবার, ১০ জানুয়ারি  প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ ‍দুদকের আপিলের আবেদনটি নিষ্পত্তি করে।

বিএনপি নেতার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী, মোশাররফের ছেলে ব্যারিস্টার মারুফ হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে ছিলেন, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।

মামলা হওয়ার পর তিনি হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ পরে তা বাতিল করে। এরপর ২০১৪ সালের ১২ মার্চ গুলশানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক খন্দকার মোশাররফের দাবি, মামলায় যে অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে তা অবৈধভাবে অর্জিত নয়, পাচারও করা হয়নি। তিনি গবেষণার জন্য বিদেশে থাকাকালে এই অর্থ উপার্জন করেছিলেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এই মামলায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ