গুলি ছুড়ে দোকান বন্ধ করালেন উপজেলা চেয়ারম্যান

Norail

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, খুলনাঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমান ওছি এক সার ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বড়দিয়া বাজারে সার ব্যবসায়ী শেখ আয়েনউদ্দীনের দোকানে এ হামলা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিসিআইসি নিয়োগকৃত খাঁশিয়াল ইউনিয়নের সারের ডিলার আয়েনউদ্দীনের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ১৮ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানের এক ভাই বাদি হয়ে ওই ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নড়াগাতী থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় আসামি করা হয় ৮০ বছরের বেশি বয়সী অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষককে, যিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন জামিনে ছাড়া পান।

সম্প্রতি ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে দোকান খোলেন আয়েনউদ্দীন।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে ওই দোকানে হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা জানায়। বাজারের লোকজন জড়ো হলে এক পর্যায়ে তিনি তার কাছে থাকা শটগান দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন।

ব্যবসায়ী আয়েনউদ্দীন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা আমার দোকানে হামলা চালিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় তিনি আমাকে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আমার দিকে অস্ত্র তাক করেন। তারপর আমার ঘাড়ের ওপর অস্ত্র রেখে পাঁচ/ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়েন।”

হয়রানির জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, “ওই মামলায় পলাতক থাকায় কয়েকদিন দোকান খুলতে না পারায় এলাকার কৃষকরা সার পাননি। কৃষকদের সারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করে দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান আবারো দোকান বন্ধ করিয়ে দিলেন।”

বড়দিয়া নৌ বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়েব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাটি তদন্তের জন্য নড়াগাতী থানার ওসি মো. কেরামত আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।”

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খান শামীমুর রহমান বলেন, “আয়েনউদ্দীন শেখ তার লোকজন নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমি আত্মরক্ষার জন্য ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে বাধ্য হয়েছি।”

নড়াইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরদার রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ