জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী আজ
প্রতিবেদক, এবিসিনিউবিডি, ঢাকা: ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আজ মঙ্গলবার ৮০তম জন্মবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকতে দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকালে জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ছাড়া সেখানে মিলাদ মাহফিল ও বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ড্যাবের উদ্যোগে সকাল থেকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হবে। বিকালে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ক্রোড়পত্র প্রকাশের পাশাপাশি পোস্টার ও ব্যানার ছাপানো হয়েছে।
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল। ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ১৯৭৫ সালের সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় আসেন জিয়াউর রহমান।
নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন।
৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, দেশের এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন জিয়াউর রহমান। মাতৃভূমির মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। স্বাধীনতা-উত্তর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল, ঠিক তখনই জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় এসেই মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার জন্মদিনে তার প্রদর্শিত পথেই বর্তমানের অগণতান্ত্রিক শক্তি ও আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাভূত করতে হবে।