দাউদ মার্চেন্টকে ফেরত দিচ্ছে বাংলাদেশ
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: দুবাইয়ে থাকা ভারতীয় ‘মাফিয়া ডন’ দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ভারত-বাংলাদেশ বন্দি বিনিময় চুক্তি মেনে ভারতের হাতে তাকে তুলে দেয়া হবে।
গতকাল সোমবার নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে দাউদের বদলে বাংলাদেশ কাউকে ফেরত পাচ্ছে কি না- সে প্রসঙ্গটি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘এক্সচেইঞ্জ করে কাউতে দিতে হবে বা আনতে হবে তা নয়। যে বিদেশিদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের কয়েকজন আমাদের কারাগারে রয়েছে। যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠাতে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করি। দাউদ মার্চেন্টের ক্ষেত্রেও ‘সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মুম্বাইয়ের সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই মামলায় সন্দেহভাজন ভাড়াটে খুনি দাউদ মার্চেন্ট গ্রেপ্তার হলে ২০০২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দাউদ আপিল করেন। ২০০৯ সালে ১৪ দিনের পারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যান তিনি।
ওই বছরের ২৮ মে ভারত সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের পুলিশ। পাসপোর্ট আইনে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। ভারতের অপরাধ জগতের আলোচিত ডন দাউদ ইব্রাহিম বাংলাদেশে নিজের কর্মকান্ড বিস্তারের জন্য দাউদ মার্চেন্টকে এ দেশে পাঠিয়েছেন।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাউদ জামিন পেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তাকে আবার আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
এরপর বিভিন্ন সময়ে দাউদকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হলেও বিষয়টি এতোদিন গতি পায়নি।