কৃষির উৎকর্ষ ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়: রাস্ট্রপতি
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, ‘‘কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ‘কৃষিবিদ দিবস’ উদ্যাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। তিনি এ উপলক্ষে কৃষিবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মীসহ কৃষক সমাজকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, কৃষিকে ঘিরেই মানব সভ্যতার গোড়াপত্তন। নীল নদের অববাহিকায় কৃষি কাজের যে সূচনা হয়েছিল কালক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা মূলত কৃষিকে ঘিরে। তাই কৃষির উৎকর্ষ ব্যতিরেকে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উপলব্ধি থেকেই স্বাধীনতার পর পরই কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তিনি কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণসহ ১৯৭৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। এর ফলশ্রুতিতে কৃষিবিদরা যেমন সম্মানিত হয়েছেন তেমনি দেশে কৃষিরও ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।
দেশ আজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সেই সাথে স্বল্প পরিসরে খাদ্য রপ্তানির অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, মূলত কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদ একই সুতোয় গাঁথা। কৃষিবিদ তথা কৃষিবিজ্ঞানী কর্তৃক উদ্ভাবিত নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি ও অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ ব্যবহার করে কৃষক আজ প্রায় ষোলো কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে। বেড়েছে শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ অন্যান্য কৃষি উৎপাদনও।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেছেন, কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীগণ তাঁদের মেধা, মনন ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে কৃষির আরো উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবেন। ‘কৃষিবিদ দিবস’ উদ্যাপনের মাধ্যমে দেশ কৃষিতে আরো এগিয়ে যাবে।