কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখাতে উদাত্ত আহ্বান: প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,ঢাকা: শু্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে নানাবিধ ঝুঁকির মধ্যে কৃষকের ভাগ্যোন্নয়ন তথা কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে কৃষিবিদগণকে আরো আন্তরিক ও সক্রিয় হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ‘কৃষিবিদ দিবস’ পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত। তিনি দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে কৃষিবিদগণের মেধা ও মননের সর্বোৎকৃষ্ট বিনিয়োগের মহতি প্রত্যাশায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে কৃষিবিদগণকে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেন। যা এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদদের জন্য ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও কৃষি জমির ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতিতে কৃষির নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বাধীনতাপূর্বের তুলনায় প্রায় তিনগুণ খাদ্যশস্য, মাছ, দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে প্রায় ১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর খাদ্যচাহিদা পূরণে কৃষিবিদগণের অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
তিনি বলেন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের গুণী কৃষিবিদ ও সফল কৃষকদের মধ্যে ‘কৃষিবিদ পদক’ প্রদান করে কৃষিবিদদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো মনোযোগী হতে উৎসাহিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, কৃষি ও কৃষকের পরম বন্ধু এদেশের সচেতন কৃষিবিদগণ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের যে কোনো জাতীয় দুর্যোগে তাঁদের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও মননশীল ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন, যা
সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে একান্ত সহায়ক হবে।
তিনি ‘কৃষিবিদ দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।