সরকার ও ইসি যমজ ভাইয়ের আচরণ
আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : সরকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে আরেকটি দখলবাজি মহড়ার উৎকৃষ্ট মডেল বানাতে চায়। সে জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) যমজ ভাইয়ের মতো একযোগে কাজ করছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা, হামলা ও হুমকির বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
রিজভী অভিযোগ করেন, ভোটারবিহীন দখলবাজ সরকার ভোট, নির্বাচন, জনমত, জবাবদিহি, পরমতসহিষ্ণুতাসহ গণতন্ত্রের সব উপাদানকে নির্বাসিত করার পর তাদের হিং¯্রতা ও আগ্রাসন দিনকে দিন বেড়েই চলছে। জনগণ জানে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনের পরিণতি কী হবে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত না এই জবরদখলকারী সরকারের পতন ঘটবে, তত দিন পর্যন্ত মানুষ তার অধিকার ফিরে পাবে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত হবে না। একমাত্র আন্দোলনের পথই হচ্ছে চূড়ান্ত পথ। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন মানেই দখলবাজি আর কেড়ে নেওয়ার মহোৎসব। সুতরাং যে নির্বাচনী প্রহসন করবে, তার উপযুক্ত জবাব হবে সম্মিলিতভাবে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী যেন অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করে দেশ শাসন করে যাচ্ছে। নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। অথচ আওয়ামী লীগদলীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পাওয়াটাকেই বিজয়ী হয়েছে বলে মনে করছেন, যা ইতিমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং আসন্ন ইউপি নির্বাচনটা সরকার নিজের মনের মাধুরী দিয়ে যে সাজিয়ে রেখেছে, এ বিষয়ে আর কারও সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না।