পিলখানা ট্রাজেডির সপ্তম বার্ষিকী আজ
মেহ্দী আজাদ মাসুম, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। ২০০৯ সালে এই দিনে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা।
এই দিন সকাল ৯ টা ২৭ মিনিট বিডিআর দরবার হলে চলমান বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক ঢুকে পড়ে। এদের মধ্যে একজন বিডিআর মহাপরিচালকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। এরপরই ঘটে যায় ইতিহাসের সেই নৃশংস ঘটনা। বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে, তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে। পুরো পিলখানায় তখন এক ভীতিকর বীভৎস ঘটনার সৃষ্টি হয়।
এসময় বিদ্রোহীরা পিলখানার চারটি প্রবেশ গেট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশে-পাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকে। তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়ে মেধাবী সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা থেকে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। লাশ আর পিলখানার ধ্বংসযজ্ঞ দেখে সারাদেশের মানুষ হতবাক হয়ে যায়। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, একজন সৈনিক, দু’জন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ জন বিডিআর সদস্য ও পাঁচজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
বিগত মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই মাসের মাথায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের সূর্যসন্তান মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা, নির্যাতন ও লাশগুমের লোমহর্ষক উৎসবে মেতে উঠেছিল কিছু নরঘাতক। এ ঘটনায় বিদ্রোহের বিচার হয়েছে। হত্যা মামলায় ১৫৪ আসামির মৃত্যুদন্ড ও ১৫৯ জনকে যাবজ্জীবনসহ মোট ৫৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। বিস্ফোরক মামলার বিচার চলছে।