দুই নেত্রী মাইনাস এর কুশীলবদের বিচার চান ড.খন্দকার মোশাররফ
সাইফুর রহমান, প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: যারা দুই নেত্রীসহ অসংখ্য নেতাকে কারাগারে অন্যায়ভাবে নিক্ষিপ্ত করেছে, দুই নেত্রীকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করেছিল, আমরা তাদের বিচার চাই প্রথম। তারপরে হবে যারা ওই বেআইনি সরকারকে সমর্থন করে লেখালেখি করেছে, তাদের বিচারও আমরা চাই।”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় মাহফুজ আনামের পক্ষেই কথা বলেছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ। একদিন বাদেই বুধবার,২৪ ফেব্রয়ারী জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে এই আলোচনা সভায় ওই সময় কারা নির্যাতিত ড.খন্দকার মোশাররফ তার বিপরীত বললেন ।
সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের সময় যাচাই না করে ডিজিএফআইয়ের ‘সরবরাহ করা’ খবর প্রকাশের ‘ভুল’ মাহফুজ আনাম স্বীকার করার পর তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের বিচার দাবি করেছেন বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের অন্যতম ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেছেন, “ইদানীং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ বলছেন, ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি সরকারের সময়ে যারা রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে মিথ্যা লেখালেখি করেছেন, তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।
ওই সময় ডিজিএফআইয়ের ‘সরবরাহ করা’ শেখ হাসিনার ‘দুর্নীতির খবর’ যাচাই ছাড়া প্রকাশ করার ‘ভুল’ মাহফুজ আনাম স্বীকারের পর সমালোচনার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে প্রায় একশ মামলা করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
সোমবার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী ওই প্রসঙ্গ তুলে ভুলের দায় নিয়ে সম্পাদক মাহফুজ আনামের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন।
সেইসঙ্গে জরুরি অবস্থার সময় দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে পরিকল্পিত ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ ‘বাস্তবায়নচেষ্টার সহায়ক ভূমিকায়’ থাকা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপর স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “জরুরি আইনের সময়ে যারা বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালনা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, যারা এদেশে নেতৃবৃন্দের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছিলো, বিরাজনীতিকরণ করার জন্য যারা দায়ী ছিল, আজকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে।
“২০০৮ সালের নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের বিচার চেয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা কথা বলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেল, হঠাৎ তাদের বক্তব্য বন্ধ হয়ে গেল। পত্রিকায় ওই সময় খবর প্রকাশিত হয়েছিলে যে সরকারের প্রধানের নির্দেশে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদরা কথা বলা বন্ধ করে দেয়।”
আওয়ামী লীগের শাসনে বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্রহীন’ অবস্থা চলছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, “২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে এই সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। পরবর্তীকালে উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনে এই চিত্র দেথা গেছে- কীভাবে প্রহসনের নির্বাচন করে তারা একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করার পথে এগুচ্ছে।
“আজ মিডিয়ার স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত। মানুষের বাক স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নেই।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বা্ন জানান বিএনপির প্রবীণ এই নেতা।
ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের শামা ওবায়েদ।