সরকার বেকায়দায় থাকলেও হস্তক্ষেপ করবে না
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চার সিটি কপোরেশনে নির্বাচনে পরাজিত হওয়া সরকার বেকায়দায় থাকলেও গাজীরপুর সিটিতে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, চার সিটিতে সরকার হেরে গিয়ে কিছুটা বেকায়দায় আছে, তা অস্বীকার করার কিছু নেই। অবশ্যই আমরা বেকায়দায় আছি। চার সিটিতে পরাজয় আমাদের প্রয়োজন ছিল। এ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া হয়েছে। যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমাদের কিছুটা সাহায্য করবে।
এরশাদ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুর সিটিতে জাতীয় পাটি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একারণে এরশাদ কাউকে সমর্থন দেননি।
মন্ত্রী বলেন, বিগত ৮টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচেনর মতো গাজীপুরের নির্বাচনও নিরপেক্ষ হবে, এ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জবরদস্তিমূলক কোন পলিসি সরকারের নেই।
গাজীপুরের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং নানা অভিযোগ আনা হয়েছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এসব অভিযোগ অমূলক ও ভিত্তিহীন, ভোটগ্রহন শুরু হলে রেজাল্ট হলেই তা বুঝবেন।”
আগামী নির্বাচনে এরশাদ বা জাতীয় পার্টি বিশেষ ভূমিকা রাখবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমি জনগনের শক্তিতে বিশ্বাসী, জনগন যদি এরশাদকে রায় দেয়, ফ্যাক্টর মনে করে তাহলে সে রায় কি আমি অস্বীকার করব।”
কাদের বলেন “ ভোটের রাজনীতিতে আদর্শের প্রশ্নে কমপ্রোমাইজ করতে করতে রাজনীতি নীতিহীন হয়ে পেড়েছে, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাবে ভাল মানুষরা প্রার্থীতার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।”
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জয়ী হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রিয়তার পারদ উঠানামা করে, গত পাচমাসের তুলনায় এখন রাজণৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন, আগামী চার মাসে রাজনীতি অঙ্গনের খেয়ালী মাতাল হাওয়া কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা সম্ভব নয়।
আগামী নির্বাচন নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে অন্ধকার আসে তা আবার কেটে যাবে, বিগত চার সিটি কর্পোরেশন ও গাজীপুরে বিরোধীদলের অংশগ্রহন এবং সংসদে উপস্থিত একটি ভাল লক্ষন।