পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ধর্ষিতার মা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ধর্ষিত শিক্ষার্থীর মা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ওই নারী সাক্ষ্য দিলেও সাক্ষ্য দেননি তার মেয়ে।
অসুস্থতার কারণে ওই ছাত্রী আসতে পারেননি বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলে তার সাক্ষ্য নিতে ২২ অগাস্ট দিন ঠিক করেছেন বিচারক মো. আরিফুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ১১ জুন বিচারক বলেছিলেন, ধর্ষিতা ছাত্রীর সাক্ষ্য তার খাসকামরায় নেয়া হবে।
নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালের বিধান থাকলেও তার চর্চা দেখা যায় না বললেই চলে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর আন্দোলনের মুখে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর গ্রেপ্তার হয়ে তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
ভিকারুননিসার বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের সাবেক শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১১ সালে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনাটি জেনে আন্দোলনে ফেটে পড়েন ভিকারুননিসার ছাত্রীরা। পরিমলকে রক্ষার অভিযোগ তুলে তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরাকে অপসারণের দাবিও তোলেন তারা।
২০১১ সালের ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং স্কুলের বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।ওই বছরের ১৪ অগাস্ট পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১২ সালের ৭ মার্চ আদালত পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অন্য দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়।
মামলা দায়েরের দুদিন পর কেরানীগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে পরিমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১১ সালের ১১ জুলাই তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এই মামলায় ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি ফোরকান মিয়া এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, এই পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষে তিনজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
পরিমল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামের বাসিন্দা ক্ষিতিশ জয়ধরের ছেলে। তিনি ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন।