‘অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা’ করতে চেয়েছিল: আমু
আনোয়ার আজমি, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত গত বছরের শুরুর দিকে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নস্যাৎ করে দেশে একটি সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করে অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ২৬তম দিনে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, তারা পাকিস্তানের দোসর হিসেবে এদেশে পাকিস্তানী ভাবধারার সরকার প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা করছে। আন্দোলনের নামে এরা স্কুল ভবন পুড়িয়ে দিয়েছিল। গত বছর তারা প্রায় ৩ কোটি বই পুড়িয়ে দিয়েছিল।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এরা একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে যেভাবে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, তেমনিভাবে এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চেষ্টা করে। এরা পাকিস্তানী কায়দায় আন্দোলনের নামে পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়ে প্রশংসিত হয়েছে। এই অর্জন বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের বিষয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি স্বাক্ষর করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই চুক্তি আর বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ফলে দেশের কোন স্থল সীমানা বা সমুদ্র সীমানা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টায় মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে আমরা স্থল সীমানা পেয়েছি এবং মায়ানমার ও ভারতের সাথে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে সমুদ্রসীমানা পেয়েছি।
আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু তাদের অপকর্মের কারণে মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জনগণ তাদের ভোট দেবে না জেনে তারা কারচুপির স্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, এপ্রিল থেকে কোন কাঁচা চামড়া যাতে হাজারীবাগে প্রবেশ করতে না পারে এই ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং মার্চ থেকে সাভারে চামড়া শিল্প স্থানান্তর শুরু হবে।