শ্রমিকদের ভোট পেতে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতি ও আঞ্চলিকতাকে পেছনে ফেলে জয়-পরাজয়ের ‘নিয়ামক’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন শ্রমিকরা। শ্রমঘন এ মহানগরীতে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময়ে তাই বেশ কদর তাদের।
বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটারের এই অংশটিকে পক্ষে টানতে সময় দিয়েছেন প্রার্থীরা। হাত মিলিয়েছেন, চেয়েছেন ভোট, দোয়া। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে এই শ্রমিকদের ঘিরেই।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান টঙ্গীর নিজ বাড়ি থেকে সকাল ৯টার দিকে বের হয়ে সোজা চলে যান হাজী সৈয়দ শাহ মাজারে।
বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের পর টঙ্গী এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানায় গণসংযোগ চালান টানা ১৭ বছর টঙ্গী পৌর মেয়রের দ্বায়িত্ব পালনকারী এই প্রার্থী।
গাজীপুরে মোট ভোটার ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন, যার মধ্যে টঙ্গী থানার ভোটার তিন লাখ ২৬ হাজার। এর মধে্যে জয়দেবপুরের গাছা ও পূবাইল ইউনিয়নে ভোটার আছে আরো এক লাখ ৮৮ হাজার।
এ হিসাবে শুধু টঙ্গীতে ভোটার রয়েছেন পাঁচ লাখের বেশি।
স্থানীয়রা বলছেন, পুরো গাজীপুরে কারখানার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার, যেখানে কাজ করেন আড়াই লাখের মতো শ্রমিক। আর বাসন, কোণাবাড়িতেই কারখানা ও শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এজন আলোচনায় থাকা প্রার্থীরা এসব এলাকাকেই শেষ মুহূর্তের প্রচারণার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী এমএ মান্নান সকালে সালনা এলাকায় গণসংযোগ শেষে কয়েকটি কারখানায় ছুটে যান। এর ফাঁকে চান্দনা চৌরাস্তায় নির্বাচনী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। এরপর গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজ, কোনাবাড়ি, পূবাইল এলাকাতে গণসংযোগ চালিয়ে বিকেলে আবার ফিরে যান সালনা এলাকায়।
গাজীপুর পৌরসভার ভোটার ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৬২, কাশিপুরে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৬৫, কোনাবাড়ি ১ লাখ ৩৩, বাসন ১ লাখ ১ হাজার ৩৭০ এবং কাউলতিয়ায় মোট ভোটার ৭৪ হাজার ৯৮২।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করার বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে। সে হিসেবে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তাই গুরুত্ব পাচ্ছেন এই শ্রমিকরা।
এদিকে নির্বাচনকালীন সময়ে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে নেমেছে বিজিবি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিজিবি সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে তাদের নামানো হয়েছে।”
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।