গুলি করার নির্দেশ দিয়েছি : সিইসি

সাইফুর রহমান, প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদে বলেছেন, ইউপি নির্বাচনে কেউ আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছি। আইন ভঙ্গকারী যে হোক তাকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে ইসির বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বৈঠকটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মিলনায়তনে ওইদিন সকাল ১১টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ২টায়।

সিইসি বলেন, আমরা সকলকে সমান ভাবে সুযোগ সুবিধা দিব। আমাদের কাছে সব দল সমান। যেকোন বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিব।

আইন-শৃঙ্খলা পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে ৬৩৪টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ৭ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৭ জন করে পুলিশ ও আনসারের ১৯ জন করে ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রেই ফোর্স থাকছে ১ লাখ ২০ হাজারের মতো।

তবে এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কার্যপত্রে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় রর‍্যাব , আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং সীমিত পরিসরে সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছিল।

এবার পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে ১টি করে ৬৩৯টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিন ইউপির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রতি উপজেলায় ২টি করে র‌্যাবের মোবাইল টিম ও ১টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি উপজেলায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোবাইল ও ১ প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।

আবার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতি উপজেলার জন্য কোস্টগার্ডের ২ প্লাটুন মোবাইল ফোর্স ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। যারা ভোটের দু’দিন আগে থেকে পরে একদিন মোট চারদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এ হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে সবগুলো ইউপির নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ