ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে স্পীকারের সাক্ষাৎ
নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু‘দেশের দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এসময় ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভার আমন্ত্রনে ‘ভারতের মহিলা আইনপ্রনেতাদের জাতীয় সম্মেলন’ এ যোগ দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লী সফর করায় স্পীকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র আন্তর্জাতিকমানে উনীত হয়েছে। এর ফলে দু’টি আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারী ফোরাম সিপিএ ও আইপিএ প্রধান বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রণব মুখার্জী আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নছিল। তাই তাঁর স্বল্পকালীন শাসনামলে তিনি এ চুক্তি করতে পেরেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পেরে ভারত ও আনন্দিত।
বাংলাদেশের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাক্ষাৎ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে অনেক সৌহার্দপূর্ণ। তিনি আশাপ্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এছাড়া দু’দেশের পার্লামেন্ট ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও নিবিড় হবে। এর ফলে দু’দেশের জনগন ও গণতন্ত্র উপকৃত হবে।
স্পীকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। এ সকল বিষয়ে আলাপ আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং সহসাই এসকল সহযোগিতার দ্বার উম্মুক্ত হবে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্বীকার করে স্পীকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিকএবং ক্রমান্বয়ে এটা আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে।