গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমবে আগস্টে বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ

ICT Movement Newsসাইফ মাহমুদ, প্রযুক্তি রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কোন নতুন অসঙ্গতী হলে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে এমন কথা বলেছেন তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক।ইন্টারনেটের দাম কমিয়েছে বলে বিজ্ঞাপন ও সংবাদ প্রচারে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় সংগঠনের পুরানা পল্টনস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে গ্রাহকদের স্বার্থ নিয়ে ছিনিমিনি না খেলতে বিটিআরসি ও অপারেটরদের সতর্ক করা হয়। সম্প্রতি কয়েকটি টেলিকম আপরেটর পি১ প্যাকেজের দাম কমিয়েছে বলে বিজ্ঞাপন ও সংবাদ প্রচার করে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

সভায় অন্যান্যদের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক আগা শামস মেহেদী, সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শার্দুল আহমেদ সেনা, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইসিটি অব বাংলাদেশ- ইয়াহু গ্র“পের মডারেটর এম.এ. কবির, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট শফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান তাফসীর, বাযেজিদ ইবনে হক, সাংবাদিক মো. কামরুজ্জামান ও মো. আরব আলী, সেলিম মোড়ল, জাহিদ হাসান মিন্টু, শেখ মোহাম্মদ জুয়েল, শাকিল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আন্দোলনের মুখে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি। প্রকৃতপক্ষে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং সর্বনিন্ম গতি ৫১২ কিলোবাইট ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে চাপের মুখে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মাওলা ভুইয়া গত ০৫ জুন ২০১৩ খৃস্টাব্দ তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিসের দাম নির্ধারণ কস্ট মডিউল ছাড়া সম্ভব নয়। একই দাবিতে গত ১২ জুন ২০১৩ খৃস্টাব্দ বুধবার বিকেল ৩টায় তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে লাগাতার গণঅবস্থাণ শুরু করলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। ওই বৈঠকেও গোলাম মাওলা ভুইয়া ওই কস্ট মডিউলের অজুহাত দেখান। গোলাম মাওলা ভুইয়া জানান, আইএসপি/ অপারেটরগুলোকে কস্ট মডিউলের জন্য ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে এবং এর পর পরই ঘোষণা করা হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কস্ট মডিউল পেলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার ঘোষণার জন্য বিটিআরসির এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়। বিটিআরসির কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবেন না বলে আশা করি।
জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, বর্তমানে গ্রামীণফোনের পি৩ প্যাকেজে ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ৫০.০০ টাকার কম এবং টেলিটক থ্রিজি ডি১২ প্যাকেজে গ্রাহকের ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ২০.০০ টাকার কম। বর্তমানে আইএসপির জন্য প্রতি ১ সেকেন্ডে ১ এমবিপিএস হারে মাসের ব্যান্ডউইথের মূল্য ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়েছে। বিটিআরসি থেকে ঘোষিত গ্রাহক পর্যায়ের নতুন মূল্যহারে অবশ্যই ওই অনুপাতে নির্ধারণ করতে হবে।
জুলীয়াস চৌধুরী আরো বলেন, প্রতিশ্র“তি রক্ষা করতে পারবেনা বিধায় আমরা আনলিমিটেড প্যাকেজ চাই না। তিনি বলেন, আমরা বিটিআরসিকে লিখিতভাবে বলেছি- আইএসপিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে দুটি মাত্র প্যাকেজ বিক্রয় করতে পরবে। একটি ১ মেগাবাইট স্লাবে অন্যটি ১ গিগাবাইট স্লাবে। আইএসপিগুলো তাদের ব্যবসার প্রসার ও প্রতিযোগিতা করবে বি¯তৃত নেটওয়ার্ক, সর্বার্ধিক গতি, নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, সহজ ব্যবহার ও উন্নত গ্রাহক সেবার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমরা ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছি না। নির্ধারণের কথা বলছি। এবং তা যুক্তিসঙ্গত হতে হবে।
জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কোন নতুন অসঙ্গতী হলে এবং গ্রাহকদের স্বার্থ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্টদের উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ