বাংলাদেশের নয়, আফ্রিদির জয়
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : ম্যাচ শেষে হাত মেলালেন সাকিব আল হাসান ও শহীদ আফ্রিদি। ইডেনে গতকাল ১৬ মার্চ পাকিস্তানের কাছে ৫৫ রানে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
পাক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির ব্যাটে রান নেই অনেক দিন। সমালোচনায় সমালোচনায় জর্জরিত। ‘বুম বুম’ নামটাকে পরিহাসের মতো শুনিয়ে যেন এক পুরাকীর্তি! আর এই দিনেই কিনা দেখা দিতে হবে সবার প্রায় ভুলতে বসা পুরোনো রূপে!
ম্যাচটা ঘিরে বাড়তি একটা রোমাঞ্চ ছিল। প্রায় ২৬ বছর পর ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের ম্যাচ। পেছনে এশিয়া কাপে সবাইকে চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স। সেই রোমাঞ্চে জল ঢেলে দেওয়ার কাজটা তো বলতে গেলে একাই করলেন আফ্রিদি।
ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে চারে তুলে এনে যখন নামছেন, দুই পাকিস্তানি সাংবাদিকের আলাপচারিতা কানে এল। টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির সর্বশেষ ফিফটি হাম্বানটোটায়। সেই ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বোঝাই গেল, মাঝখানের সময়টা এতবার এটি তাঁদের লিখতে হয়েছে যে, মুখস্থ হয়ে গেছে।
সর্বশেষ ফিফটি এখনো সেই হাম্বানটোটারই। মাত্র ১ রানের জন্য কাল যেটি পেলেন না। তবে সর্বনাশ যা হওয়ার তা তো এর আগেই হয়ে গেছে। আউট হলেন ১৯তম বলে। আগের ১৮ বলেই করে ফেলেছেন ৪৯ রান, ৪টি চার, ৪টি ছয়। ম্যাচটার দিকে পেছন ফিরে তাকালে কোথায় এটি বাংলাদেশের জন্য রোমাঞ্চের বদলে ‘দুঃস্বপ্নের ম্যাচ’ হয়ে গেল বুঝতে একটুও সমস্যা হচ্ছে না।
যখন নেমেছেন, তখনই অবশ্য ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। ১৩.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ১২১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজের ৯৫ রানের জুটি। যেটি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে, ইডেনের এই উইকেট ব্যাটিং-স্বর্গ কাহাকে বলে প্রশ্নের উত্তর।
মুস্তাফিজুর শেষ পর্যন্ত খেলেননি। আজ খেলবেন-কাল খেলবেন করতে করতে অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, ‘খেলতে পারেননি’ লেখা উচিত না ‘খেলেননি’, এই প্রশ্নও জাগছে। তা মুস্তাফিজ নেই তো কী! ঢাকায় এশিয়া কাপে কি তাঁকে ছাড়াই পাকিস্তানকে হারায়নি বাংলাদেশ! হারিয়েছে, তবে পার্থক্য হলো, মিরপুরের উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু ছিল। বাংলাদেশের বোলারদের ভালো করতে উইকেট থেকে কিছু সাহায্য লাগে। আর এখানে উইকেট এমনই যে, বোলার শুধু লাইন-লেংথ ঠিক রেখে প্রার্থনাই করে যেতে পারে।
শুরু থেকেই মার খেয়ে সেই লাইন-লেংথও গুলিয়ে ফেললেন মাশরাফিরা। ‘মাশরাফিরা’ লেখা হলো, তিনি শুধু অধিনায়ক বলে নয়। বোলিং ব্যর্থতার নেতৃত্বেও তো তিনি। ৩ ওভারে দিয়ে ফেললেন ৪১ রান। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ দুই বোলার তাসকিন আর সানিকেই বলা যায় একটু ব্যতিক্রম। বাকি বোলারদের সবার অবস্থাই খারাপ।