যোগ্য ও পরীক্ষিতদের জায়গা দেয়া হবে : খালেদা জিয়া
সাইফুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দলে যোগ্য ও পরীক্ষিতদের জায়গা দেয়া হবে। এক-এগারোর সময় কিছু বেঈমান বিএনপিতে ঢুকেছিল। এখনো বিএনপিতে বেঈমান, মীর জাফর আছে-এটা স্বীকার করতে হবে। তাদের কারণে আন্দোলন সফল হয় না। আন্দোলন যখন তুঙ্গে ওঠে তখন তারা বেঈমানি করে। আন্দোলন ফলপ্রসূ হতে দেয় না।’
১৯ মার্চ (শনিবার) রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেগম জিয়া।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া কর্ম অধিবেশনটি চলে টানা পাঁচ ঘণ্টা। মিলনায়তনে তিন হাজার কাউন্সিলরের জায়গা না হওয়ায় মিলনায়তনের বাইরেও তা সম্প্রসারণ করা হয়। সেখানে বড় পর্দার মাধ্যমে মিলনায়তনের ভেতরের অনুষ্ঠান দেখানো হয়। এর আগে, সকালে বেলুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে অধিবেশনের উদ্বোধন করেন তিনি।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কমিটিতে বেঈমানদের রাখবেন না, এদের বাদ দেবেন। বেঈমান-মীর জাফরদের বাদ দিলে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। অনেকেই বিএনপিতে আসতে চায়। সুতরাং লোকের অভাব হবে না।’
ঢাকার নেতাদের ব্যর্থতায় বিএনপির আন্দোলন সফল হয়নি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জেলা-উপজেলায় ব্যাপকভাবে আন্দোলন হয়েছে। অথচ ঢাকায় সেই তুলনায় কিছুই হয়নি। এই ব্যর্থতা স্বীকার করছি। ঢাকায় আন্দোলন হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাক হয়নি, চুরি হয়েছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা পত্রিকায় লিখলে গুম করে ফেলা হবে। তাই তারা রাঘব-বোয়াল লিখছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু বের হয়েছে। আপনারা সেটা জানেন, পড়েছেন। আপনারা জানেন, কে এর সঙ্গে জড়িত। সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, হাসিনাকে অবহিতও করেছেন। কিন্তু হাসিনা এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছেন এবং তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে- এমন দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কেঁদেছেন। কেঁদেছেন এ কারণে যে, ছেলে অপকর্ম করবে, আর তার দায়ভার আরেকজনের ওপর দিয়ে বলির পাঠা বানানো হবে, তাই চোখের পানি আসা স্বাভাবিক।’